বিয়ের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
বিয়ের ওপর বিগত সরকারের আরোপিত কর আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সাধারণ ছাত্রজনতা নামের একটি সংগঠন।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক বিবাহের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহারের দাবিতে’ আয়োজিত মানববন্ধনে এই দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে ব্যভিচার ও ধর্ষণকে ছড়িয়ে দিতে কিছু বিদেশি গোলাম নিরলসভাবে কাজ করে গেছে। বাল্যবিয়েকে আইনবিরুদ্ধ ঘোষণা করে একটা ইস্যু তৈরি করা হলো, অথচ ইসলামের বিধান অনুযায়ী একটা ছেলে-মেয়ে বালক-বালিকা হলেই বিয়ের উপযুক্ত হয়ে ওঠে। ১৩-১৪ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েরা অবাধে মেলামেশা করছে, সেটা বন্ধে সরকার কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তারপর বলা হয়, নিজের পায়ে না দাঁড়ানো পর্যন্ত বিয়ে করা যাবে না, এটা পশ্চিমাদের আরেকটি প্রোপাগান্ডা।
তারা বলেন, ইসলামে বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বিভিন্নভাবে ইসলামের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে, যার একটি হলো বিয়েতে কর আরোপ করা। ইসলামের বলা আছে, যে বিয়ে সহজেই হয় সে বিয়েতে আল্লাহর রহমত থাকে।
বক্তারা আরও বলেন, পলাতক হাসিনা সরকার বিয়ের মতো একটি পবিত্র বিষয়েও অবৈধভাবে কর আরোপ করেছিল, যা সুস্পষ্টত ইসলামের অবমাননা। এতে করে যেমন যুবকদের চরিত্র নষ্ট করা হয়েছে, একইভাবে ব্যভিচারের দিকেও তা ধাবিত করতে সহায়তা রয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আইন উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিয়ের ওপর আরোপিত এই অবৈধ কর প্রত্যাহার করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট যাবতীয় আইন বাতিল করতে হবে।