টালিগঞ্জের অভিনেত্রী নুসরত প্রায়শই জীবন ঘিরে তার অনুভূতি নেটমাধ্যমে ভাগ করে নিচ্ছেন। তার ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, তুমি হয় ঠিক হবে, নয় খুশি হবে। সমাজের নিরিখে ঠিক জীবনের সংজ্ঞা আর আনন্দের জীবন যে পাশাপাশি চলতে পারে না। ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে তার এই লেখার প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে গোলাপ ফুল। কী ইঙ্গিত দিলেন নুসরত? গোলাপের মধ্যে কাঁটার অস্তিত্বকে তার জীবনের বাস্তবতা দিয়ে মিলিয়ে দিলেন তিনি?
সন্তান আসছে তার জীবনে। এই আনন্দের মুহূর্তকে সম্পূর্ণ উপভোগ করতে পারছেন কি নুসরত? সন্তানের বাবার নাম প্রকাশ করেননি তিনি। ফলে আগত সন্তানের পিতৃপরিচয় ঘিরে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না তাকে। সন্তান আসার ‘ঠিক জীবনে’ তাই পুরোপুরি ‘খুশি’ থাকতে পারছেন না হয়তো নায়িকা।
গত ৪ দিন তার ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে কিছু লেখেননি নায়িকা। বুধবার সকালে তার পুরনো ছবি দিয়ে তিনি লিখলেন, ‘আনন্দ, আশা আর প্রেমের বীজ রোপণ কর।’ ছবিতে হালকা রঙের পোশাকে তিনি দীপ্তিময়ী। খোলা চুল। মুখে এসে পড়েছে সূর্যের আলো। হবু মা, আশার আলোয় আলোকিত।
বন্ধু অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী নুসরতের এই বক্তব্যকে পছন্দ করলেও নেটাগরিকেরা তাকে ট্রোল করতে ছাড়েননি। একজন নেটাগরিক প্রশ্ন করেছেন, ‘বীজটা কার? কবে রোপণ করা হলো।’ কেউ বলেছেন, ‘এই মিথ্যেবাদী মহিলার প্রেম থেকে থেকেই পরিবর্তিত হয় কেন?,কেউ আবার নিখিল জৈনকে ট্যাগ করে লিখেছেন, ‘আমি তো আগেই বলেছিলাম এই মেয়ে তোমায় ঠকাবেই।’ অন্য আর এক জন নুসরতকে উপদেশ দিয়েছেন, ‘পরের বিয়েটা চুপি চুপি সেরে নেবেন। আগের মতো সকলকে আর নেমন্তন্ন করবেন না।’
তবে এই ছবিতে নুসরতের অনুরাগীরাও ঘুরে ফিরে নুসরতকে সাবধানে থাকার, আনন্দে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ বলেছেন, ‘তুমি সঠিক পথেই আছো। আমরা তোমার সঙ্গে আছি।’ কেউ তার রূপের প্রশংসা করেছেন। অন্য দিকে ৭ বছরের একটি মেয়ে নুসরতকে জানিয়েছে অভিনেত্রীর হাসি তাকে জীবনে অনুপ্রেরণা দেয়।
নিখিল জৈনের সঙ্গে ‘সহবাস’ নিয়ে তার বক্তব্য, যশের সঙ্গে নতুন প্রেম, মা হওয়া— একের পর এক ঘটনায় নিয়মিত কাটাছেঁড়া চলছে নায়িকার জীবন। নুসরত অবশ্য কোনও কালেই এ সব নিয়ে মাথা ঘামাননি। তিনি বলেছিলেন অনেক যুদ্ধের পর সাফল্যের আলো দেখেছেন তিনি। এই সাফল্যের আলো তার একার। গোলাপের মধ্যে কাঁটা থাকবেই। কিন্তু তিনি তার ইচ্ছে মতো জীবন কাটাবেন।