বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ বিষয়ে গঠিত কমিশন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) কমিশনের প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিশন সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে রাজধানীর গুলশান এভিনিউয়ে কমিশন কার্যালয়ে এ সভা হয়।
এতে বলা হয়, সরকারের আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা তথা বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্ট গার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্যের মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিশন অব ইনকোয়ারি গঠন করেছে।
সভায় গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশনের কার্যক্রম সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত যথারীতি পরিচালিত হবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ওই কমিশন গঠন করে গত ২৭ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ কমিশন ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করবে।
‘কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ অনুসারে তদন্তকাজ সম্পন্ন করে আগামী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে কমিশন।