ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পারিয়া ও আমজানখোর ইউনিয়নে শনিবার ভোরে প্রবল বেগে আঘাত হানে কালবৈশাখী ঝড়ে দুটি ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০টি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। সড়কের ওপর গাছপালা উপড়ে পড়ায় যানবাহন চলাচলেও বাধার সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার ভোর রাতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পারিয়া ও আমজানখোর ইউনিয়নে প্রবল বেগে আঘাত হানে কালবৈশাখী। ঝড়ে এসব গ্রামের ঘরবাড়ি, গাছপালা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ে। ঝড়ের পর থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঝড়ের সময় ঘরের টিনের চালা পড়ে রহিমা খাতুন নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। জানা গেছে তিনি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ১ নং পাড়িয়া ইউনিয়নের শালডাঙ্গা গ্রামের কহিনুর ইসলামের স্ত্রী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকতারা। কহিনুর ইসলাম জানান, ‘ফজরের নামাজ পড়তে আমি মসজিদে যাই। সেখানে থাকা অবস্থায় ঝড় শুরু হয়। বাড়িতে এসে স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করি। পরে বাতাসে উড়ে এসে বারান্দায় পড়া টিন ও ছাউনি সরিয়ে দেখি নিচে চাপা পড়ে আছে স্ত্রী। উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফজলে রাব্বি রুবেল এসব খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। লোহাড়াগাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান জানান, ঝড়ে তাদের স্কুলের হলরুমের টিনের ছাউনি পড়ে মাঠে এসে পড়েছে। বিদ্যালয়টির প্রবেশদ্বারে গাছ ভেঙে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপর। এছাড়াও লোহাড়া থেকে বঙ্গভিটা যাওয়ার রাস্তায় একাধিক গাছ ভেঙে রাস্তায় পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বালিয়াডাঙ্গী জোনাল অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানান, ঝড়ে ৪০টির বেশি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে ও ভেঙে গেছে। এছাড়াও অনেক স্থানে বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের ওপর গাছ ভেঙে পড়েছে। বালিয়াডাঙ্গী বাজার বাদে অন্যসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি মেরামত ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে