শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
সা’দত কলেজে আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর বিজয়ী হলেন সমাজকর্ম বিভাগ মোহনগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার লোহাগড়ায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত ৫ দফা দাবিতে ঢাকায় জামায়াতের বিক্ষোভ ও মিছিল দুর্গাপূজার অনুদান ১ কোটি বাড়িয়ে ৫ কোটি টাকা করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নরসিংদীতে রিক’র উদ্যোগে প্রবীণদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান লোহাগড়ায় অন্ধ ও অসহায় বিধব বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ালেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ ১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন গাজীপুরের কালীগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেফতার পুলিশের সাবেক ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম গ্রেপ্তার

মোংলা থানার ওসির অপসারনের দাবীতে বাগেরহাটে মানববন্ধন

রাকিবুল ইসলাম সুমন জেলা প্রতিনিধি বাগেরহাট
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪

 

ধর্ষন চেষ্টা, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা না নিয়ে উল্টো ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগ তুলে মোংলা থানার ওসির অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে ভুক্তভোগী মোংলা উপজেলাবাসির ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
এসময় ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার, নাসিমা বেগমসহ অনেকে  বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ন্যায় বিচারের জন্য মানুষ পুলিশের কাছে যায়। কিন্তু ধর্ষন চেষ্টা, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা না নিয়ে মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম দূর্বৃত্ত¡দের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। গত ০৯ মার্চ বাড়িতে কেউ না থাকায় পার্শ্ববর্তী মোঃ জলিল মাতুব্বর (৪৫) ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে আমার শরীরের গোপন স্থানে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে। আমার ডাক  চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় জলিল মাতুব্বর। ঘটনার আধা ঘন্টা পরেই জলিল মাতুব্বরের ছেলে আমির মাতুব্বরসহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী দলবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িতে বেআইনী ভাবে প্রবেশ করে। তারা ঘরের চালসহ ঘরের ভিতরের মালামাল ভাংচুর করে, আমির মাতুব্বর ও তার লোকজন। তারা আমাকে হত্যা করবার উদ্দেশে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে মোংলা থানার এ্সআই রমজানসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাকে উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয়রা আমাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মোংলা ২৫০ বেড শয্যা হাসপাতালে প্রেরন করে। সেদিনই ধর্ষন চেষ্টা ও হামলার মামলা নিয়ে মোংলা থানায় যায় আমার পরিবারের সদস্যরা। তবে মামলা না নিয়ে থানা থেকে বের করে দেন মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম। পরে একাধিকবার মামলার জন্য মোংলা থানায় গেলেও ওসি বিষয়টি আমলে নেয়নি। এমতাবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার মহোদয়ের শরনাপর্ণ হই। ইহাতে মোংলা থানার ওসি ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকে বলে তুই কতো মামলা খেতে পারিস আমি ডোজে ডোজে তোকে দিব। পরে ৩১ মার্চ খুলনা সিটি মেয়রের লিখিত সুপারিশ নিয়ে গেলে অভিযোগ রাখে পুলিশ। তার পরে দেড় মাস অতিক্রম হলেও মামলাটি নথিভুক্ত করেনি পুলিশ। এখন  আমাদের মামলা না নিয়ে মোংলা থানার ওসি আজিজুল ইসলামের হস্তক্ষেপে আমি ও আমার স্বামী মিজানুর রহমান, বোন পারভিন বেগম, ভগ্নিপতি কাওসার আকন, খালাতো ভাই শিমুল ও পারভেজকে জড়িয়ে আদালতে মানব পাচারসহ ৪টি মিথ্যা দায়ের করেন। আমরা বাড়িতে যেতে পারি না অত্যন্ত অসহায় জীবনজাপন করছি।
এই ওসি আজিজের অত্যাচার ও মামলার ভয়ে ২১টি পরিবার বাড়িতে ঠিক ভাবে বসবাস করতে পারছেনা। সে যদি আমাদের মোংলায় থাকে তাহলে আমাদের ২১টি পরিবার মাটির সাথে মিশে যাবে। তারা মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলামের দ্রুত অপসারন দাবি করেন।
এ ছাড়া মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলান নানা অনিয়ম, দূর্নীতির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয় মানববন্ধনে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..