ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনোয়ারকে হত্যার ঘটনায় বিচার চেয়েছেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। তিনি ডিএমপির শেরে বাংলা নগর থানায় এ ঘটনায় মামলা করবেন।
মঙ্গলবার (২২ মে) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সংসদ সদস্যের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি জেনেছি আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
এর মধ্যে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ তাদের কাউকে চেনেন কিনা জানতে চাইলে ডোরিন বলেন, ‘আমি তাদের কাউকেই চিনি না। কিন্তু তাদের চিনতে চাই, জানতে চাই কেন তারা আমার বাবাকে হত্যা করলেন।
কাঁদতে কাঁদতে সংসদ সদস্যের কন্যা বলেন, ‘আমি এতিম হয়ে গেলাম। যারা আমার বাবাকে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই, ক্রস কিংবা ফাঁসিতে ঝুলতে দেখতে চাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার মায়ের মত। তিনি অনেক সাহায্য করছেন আমাদের, তার কাছেও আমরা বিচারের আর্জি জানাই।’পরিবার থেকে কাউকে সন্দেহ করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ডরিন বলেন, ‘আমরা এখনো কাউকে সন্দেহ করতে পারছি না।’সংসদ সদস্য আনারের দুই কন্যার মধ্যে ডরিন ছোট।
বড় কন্যা চিকিৎসক আর ছোটকন্যা ডরিন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে পড়ছেন।ডরিন বলছেন, ‘সর্বশেষ বাবার সঙ্গে তার ভিডিও কলে কথা হয়েছিল। বাবা তাকে বলেছিলেন, তিনি দুদিনের মধ্যেই ভারত থেকে ফিরবেন। তিনি ঢাকায় ফিরে তাকে দাঁতের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন।ডোরিন বলছেন, ‘আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে খবর পেয়ে আমি ডিবি প্রধান হারুন আঙ্কেলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।
আমরা মামলা করতে চাই সে বিষয়ে তাদের সহায়তা নিতে এসেছি। পরে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘তার কন্যা আমাদের কাছে এসেছে। তিনি মামলা করতে চান। আমরা বলেছি সর্বশেষ তিনি যে জায়গা থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন সেখানেই মামলাটা করতে হবে। তিনি এমপি হোস্টেল থেকে বেরিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন বলে তার কন্যা জানিয়েছেন। সে কারণে আমরা তাকে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।
হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এই ঘটনায় কয়েকজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। এই হত্যার মোটিভ কি সেটা জানার চেষ্টা করছি। তিনি একজন জনপ্রিয় সংসদ সদস্য ছিলেন।’