আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকালে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হলে লোহাগড়া থানা পুলিশের অভিযানিক দল মানববন্ধন পন্ড করে দিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে আসামি ধরার নামে ব্যাপক তল্লাশি চালায়। এ সময় পুলিশ ১০ থেকে ১২টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়,
পরে পুলিশ ওই এলাকা ত্যাগ করেলে স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া কুমড়ি মধ্য পাড়ার ফিরোজ মোল্লার স্ত্রী শরিফা বেগম, মইনুল মোল্লার স্ত্রী মুনিয়া, আতিয়ার রহমানের স্ত্রী রেক্সোনা বেগম, ফারহানা ইসলামসহ স্থানীয়রা বলেন, গত বুধবারে লোহাগড়া থানা পুলিশ কুমড়ি মধ্যপাড়া গ্রামের একাধিক মামলার আসামি মশি মোল্লাকে গ্রেফতার করে হাত কড়া পরিয়ে তাকে নিয়ে অন্য বাড়িতে আসামি ধরার জন্য গেলে আসামি মশি মোল্লা হ্যান্ডকাপ পড়া অবস্থায় পালিয়ে যান। উক্ত আসামি হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে গেলে সেই দিনে পুলিশ কুমড়ি মধ্যপাড়া এলাকায় এসে ঘরবাড়ি আসবাবপত্র ভাঙচুর সহ নারকীয় তাণ্ডব চালাই, লোহাগড়া থানা পুলিশের এহেনও নারকীয় তাণ্ডবের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার এলাকাবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করে। লোহাগাড়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে মানববন্ধন পন্ড করার জন্য পুনরায় ওই গ্রামে এসে নারী-পুরুষ শিশুসহ মধ্যযুগীয় কায়দায় ব্যাপক মারধর ও ভাঙচুর চালায়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন লোহাগড়া থানার এএসআই মাজহারুল ইসলাম, এস আই মামুন, ও এস আই অমিত এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ নারকীয় এ তান্ডব চালায়।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কুমড়ি মধ্য পাড়ার হাফিজুর শেখের মেয়ে নিক ও স্ত্রী জেসমিন বেগমকে ব্যাপক গালিগালাজ ও ধাওয়া করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং পরবর্তীতে তার বাড়িঘর আসবাবপত্র ভাঙচুর ও কৃষি কাজে ব্যাবহ্ত সরন্জাম বস্তা ভরে নিয়ে যায়। মোল্লা মশিউর রহমানের বাড়ি, হাজী আব্দুল আজিজ এর বাড়িতেও ব্যাপক ভাংচুর ও তান্ডব চালায়।
অশতিপর বৃদ্ধ হাজী আব্দুল আজিজ ও রকিব উদ্দিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় পুলিশ উক্ত গ্রামের ফিরোজ মোল্লা, মসি শেখ, আতি মোল্লা, কবুল মোল্লাসহ প্রায় দশটি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। কামাল মোল্লার ছেলে ১২ বছরের শিশু আবির মোল্লা বলেন, আমাকে পুলিশ মারধর ও বুট জুতা দিয়ে পাছায় লাথি মেরেছে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা লোহাগাড়া থানা পুলিশের এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ও শাস্তি দাবি করেছেন।