১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ বাংলাদেশের ৫৩ তম মহান বিজয় দিবস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসের বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধে অকুতোভয় বাঙালি জাতির সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ বিজয় অর্জন করে। বিজয়ের গৌরবজ্জ্বল দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষ্যে সরকারি সা’দত কলেজ ১৬ই ডিসেম্বর রোজঃ শনিবার কলেজ প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুব্রত নন্দী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সুলতান আহমেদ এবং জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (সম্পাদক,শিক্ষক পরিষদ)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শাহ্ জাহান আনছারী (সহ-সভাপতি, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ), বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও সাবেক আহ্বায়ক রতন মিয়া, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সবুজ হোসেন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সবুজ হোসেন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ লুৎফুর রহমান হৃদয়, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক আনছারী, নাজমীন আক্তার এ্যানী। উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিফাত খান রানা এবং শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ, সরকারি সা’দত কলেজ শাখার সভাপতি মমিতুল ইসলাম প্রমি সহ সরকারি সা’দত কলেজ শাখা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারি সা’দত কলেজ শাখা ছাত্রদলের একাধিক নেতৃবৃন্দ। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর মোঃ নিয়ামুল হক (বিভাগীয় প্রধান, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ এবং আহ্বায়ক, মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটি-২০২৩)
উক্ত দিনটি উদযাপন শুরু হয় সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিএনসিসি-রোভার স্কাউটস এর সমাবেশ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এর মাধ্যমে। এরপর কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কলেজ প্রশাসন, শিক্ষক-কর্মকর্তা, ছাত্রনেতৃবৃন্দ, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীবৃন্দ। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব ছিল প্রীতি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। যাতে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষক পরিষদ এবং ছাত্রনেতৃবৃন্দ। দ্বিতীয় পর্ব শেষে কলেজ মসজিদে মিলাদের আয়োজন করা হয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে। মিলাদের পর তৃতীয় পর্বে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন রোভার স্কাউট বনাম বিএনসিসি, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী বনাম চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী, ছাত্রনেতৃবৃন্দ বনাম সাধারণ ছাত্রবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী বনাম স্থানীয় অভিভাবক। এছাড়াও ছিল ছাত্রীদের হাঁড়িভাঙ্গা প্রতিযোগিতা ও শিক্ষিকাবৃন্দের লক্ষ্যভেদ প্রতিযোগিতা।
সর্বশেষে খেলায় অংশগ্রহণকারী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুরস্কার বিতরনের মাধ্যমে দিন ব্যাপী কর্মসূচির ইতি ঘোষনা করা হয়।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..