নড়াইলের লোহাগড়ার দোয়া মল্লিকপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর মোহাম্মদ মল্লিক হত্যা মামলার আসামী কর্তৃক স্বাক্ষীদের মারপিট ও মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে মামলার বাদীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ২০১৫ সালের ১৪ আগষ্ট এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দোয়া মল্লিকপুর গ্রামের মৃত মজীদ মল্লিকের ছেলে এজাহারকৃত আসামী মনিরুজ্জামান মনির ওরফে নুরুজ্জামান, মৃত গফফার শেখের ছেলে আজাদ শেখ ও সাজ্জাদ শেখ, হান্নান শেখের ছেলে শফিকুল শেখ ও বুলি শেখসহ ২২ জন দূর্বৃত্ত মধ্যযুগীয় কায়দায় রাম দা দিয়ে নৃঃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আমার পিতা মোহাম্মদ মল্লিককে হত্যা করে।
হত্যার ঘটনার একদিন পর ১৬ আগষ্ট আমি বাদী হয়ে ২২ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। মামলা নং-১৮/২০১৫। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ(ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস দীর্ঘ তদন্ত শেষে এজাহারনামীয় ২২ জনের নামে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মোহাম্মদ মল্লিক হত্যা মামলাটি নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর মামলার স্বাক্ষীর দিন ধার্য্য ছিলো। এ দিন মামলার স্বাক্ষী মতিয়ার মল্লিক আদালতে স্বাক্ষী দেওয়ার পূর্বে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ফেরদৌস শেখের নেতৃত্বে আজাদ শেখ, সাজ্জাদ শেখ, বুলি শেখ, মন্টু মল্লিক, ঝন্টু শেখ, শিপন, বাচ্চু শেখ, মনির শেখ, মিলন চৌকিদার, জামশেদ শেখ সহ ১২/১৩ জন দূর্বৃত্ত মামলার স্বাক্ষী মতিয়ার মল্লিককে আদালত চত্বর থেকে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর দূর্বৃত্তরা আদালত চত্বরে মারপিট করে এবং আসামীদের পক্ষে স্বাক্ষী দেওয়ার জন্য হুমকি-ধামকী প্রদান করে। হুমকি-ধামকীর পরিপ্রেক্ষিতে এবং ভয়ে স্বাক্ষী মতিয়ার স্বাক্ষ্য প্রদান না করে আদালত চত্বর ত্যাগ করে। এ ঘটনায় মামলার ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে চাঞ্চল্যকর মোহাম্মদ মল্লিক হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য স্বাক্ষীদেরকে মারপিট, হুমকি, ধামকি অব্যাহত রেখেছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে আসামীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে। এমতাবস্থায় উক্ত হত্যা মামলার ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে হতাশ হয়ে পড়েছি। আসামীদের অব্যাহত হুমকি ধামকির কারণে আমি সহ আমার পরিবারের অপর সদস্যরা গ্রাম ছেড়ে (দোয়া মল্লিকপুর) ছেড়ে অন্যত্র মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। তিনি তার পিতা মোহাম্মদ মল্লিক হত্যা মামলার ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের আশু সহযোগিতা কামনা করেছেন।