অনিবন্ধিত পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও ভুল তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা ও করণীয় বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিনদিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের সমাপনী দিনে বক্তব্যদান ও মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত ১৬২টি অনলাইন সংবাদ পোর্টাল, ১৬৯টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন পোর্টাল, ১৫টি টেলিভিশনের অনলাইন পোর্টাল ও ১৪টি আইপিটিভিকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে, সেটি জেলা প্রশাসকদের জানানো হয়েছে। বাকি সবগুলো রেজিস্ট্রেশনবিহীন।’
‘জেলা পর্যায়ে অনেক অনলাইন পোর্টাল, আইপি টিভি ও ইউটিউব চ্যানেল আছে, যেগুলোর কোনো নিবন্ধন নেই এবং যারা সেগুলোতে কাজ করে তারা নিজেদেরকে আবার সাংবাদিক পরিচয় দেয় এবং সেগুলোর মাধ্যমে অনেক সময় গুজব ছড়ানো হয়, ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয় এবং বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
ড. হাছান জানান, ‘অনিবন্ধিত পোর্টালে যদি দেখা যায় কেউ বিভ্রান্তি বা গুজব ছড়াচ্ছে কিম্বা অসত্য বা ভুল সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে হানাহানি তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে অথবা কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন করে সেটিকে আবার ভিন্ন কাজে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সত্য তথ্যটা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবেশন করা এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ের গুজব প্রতিরোধ সেলকে জানাবার জন্য জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
বাস্তব প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘গুজব ছড়ায় কয়েক ঘন্টায়, আর সেটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কয়েকদিন সময় লাগে। কারণ এর একটা প্রক্রিয়া আছে, সেটি বিটিআরসিকে জানাতে হয়। এবং এই সময়ে গুজব থেকে রক্ষা পেতে সোশ্যাল মিডিয়াতেই যেন বলা হয় সেটি গুজব এবং আসলে সত্যটা এই। তারপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া।’
‘প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছিল বিএনপি, এরশাদ’
প্রশাসনকে দলীয়করণ বিষয় প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকার তো প্রশাসন নিয়েই কাজ করে। সরকারের রাজনৈতিক অংশ এবং প্রশাসনিক অংশ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত এবং একসাথেই কাজ করতে হয়। সরকার প্রশাসনের মাধ্যমেই তার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। আমাদের সরকার প্রশাসনকে কোনভাবেই দলীয়করণ করেনি এবং করার কোন পরিকল্পনাও আমাদের নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যারা ডিসি হয়েছেন কিম্বা বিভাগীয় কমিশনার বা যারা সচিব হয়েছেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে এসএসবির মাধ্যমে এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদেরকে পদায়ন করা হয়েছে। সুতরাং প্রশাসনকে আমরা কখনো দলীয়করণ করিনি বরং ইতিপূর্বে বিএনপি বিভিন্ন সময় যখন ক্ষমতায় ছিলো জিয়াউর রহমানের সময়, খালেদা জিয়ার সময়, সাত্তার সাহেবের সময় আর এরশাদ সাহেব যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছিল।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে আজকে এখানে আলোচনা হয়নি কারণ সরকার নির্বাচন আয়োজন করে না। নির্বাচনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা দিতে হলে জেলা প্রশাসনকে সেটি নির্বাচন কমিশনই দেবে। সেটি আমাদের আলোচ্য বিষয় নয়।’
পাশাপাশি সিনেমা হল পুণনির্মাণ, পুণরায় চালু করা, আধুনিকায়ন ও নতুন সিনেমা হল নির্মাণের জন্য যে ১ হাজার কোটি টাকা বিশেষ ঋণ তহবিল গঠন করা হয়েছে সেটি মাঠ পর্যায়ে সবাইকে অবহিত করার জন্য জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জানান মন্ত্রী। তিনি আরো জানান, ‘জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে উপজেলা পর্যায়ে তথ্য অফিস করার প্রস্তাবও এসেছে। তবে আমি মনে করি উপজেলা পর্যায়ে সব মন্ত্রণালয়ের অফিস থাকতে হবে তা নয়, ক্রমাগতভাবে সরকারের আকার বড় করা সমীচীন নয় সেটি তাদেরকে বলেছি।’
প্রেস রিলিজ-২
জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব ২৭-২৯ জানুয়ারি
বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে ২৭ থেকে ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আয়োজকরা নতুন প্রজন্মের প্রতিভাবান রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীদের হাতে তুলে দেবেন ‘কলিম শরাফী স্মৃতি পুরস্কার ১৪২৯’।
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি সাজেদ আকবরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ড. মকবুল হোসেনের সঞ্চালনায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি, শুক্রবার বিকেল ৫টায় উৎসব উদ্বোধন করবেন। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
একক ও দলীয় সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং আবৃত্তি দিয়ে সাজানো উৎসবটি প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে সকলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজক সংস্থার সভাপতি ও জাতীয় সংসদের প্রয়াত উপনেতা বেগম সাজেদা চৌধুরীর পুত্র সাজেদ আকবর।
স্বাক্ষরিত/-
মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ
পরিচালক-জনসংযোগ
nijhum77@yahoo.com