চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোসাইন চৌধুরীর বিরুদ্ধে হতদরিদ্র জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফর’র চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের বিষয়টির প্রমাণ পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফারহান তাজিম। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১২ জুন কিছু জেলের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে চাল বুঝিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। তবে বারবার অনুরোধের পরও তিনি চাল বুঝিয়ে দেননি। বাদ পড়া জেলেরা নির্ধারিত সময়ে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হলেও চাল বিতরণের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ৬৪৮ জন জেলের মধ্যে বিতরণ মাস্টাররোল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৪৭টি সিরিয়াল নম্বরধারী জেলেদেরও চাল বিতরণে কোনো স্বাক্ষর নেই। চাবি না থাকায় গুদামের কত জনের চাল মজুদ আছে তা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এদিকে এ বিষয়ে গত ১ নভেম্বর দুদকেও অভিযোগ করেছেন সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালীর বাসিন্দা ফোরকান উদ্দিন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি একজন জেলে। সাহারবিল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তাদের চাল না দিয়ে উল্টো আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। হতদরিদ্র জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল অত্মসাতের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান তিনি। এ বিষয়ে জানতে সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোসাইন চৌধুরীর মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত কিছুদিন আগে সাহারবিল ইউপির ৬জন জেলের চাল বিতরণের অভিযোগ ছিলো। পরে সাহারবিল ইউপি’র চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে ঐ ৬জন জেলেকে চাল বিতরণের ব্যবস্থা করি। এরপর আরো ৪৭ জনের ও একই অভিযোগ উঠে এবং এ বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। খুব দ্রুত সাহারবিল ইউপি”র চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণের মাষ্টাররোল পর্যবেক্ষণ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।