শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৪ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
লাখো জনতার ভালোবাসায় সিক্ত ভোলা-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর এয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোলার ৪ টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল বিএনপি। খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেবে না এনসিপি : নাসীরুদ্দীন জোটের ১২ নেতাকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিল বিএনপি ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হবেন হিরো আলম সরিষাবাড়ীতে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মদনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত লোহাগড়ার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাজারে আগুন, অর্ধ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি লোহাগড়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা পেলো ৩’শ অসহায় ও দরিদ্র রোগী

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুইপার যখন ডাক্তার!

এম, এস,এ সোহেল আরমান কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত করোনাকালীন সময়ে এনজিও কর্তৃক নিয়োগ পাওয়া সুইপার (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) মোঃ মিনহাজ হাসপাতালের পরিচ্ছনতার দায়িত্ব বাদ দিয়ে জরুরী বিভাগের ছোট-খাটো কাটা-ছেঁড়া সেলাই করা, ড্রেসিং করা, বিষ খাওয়া রোগীদের ওয়াশ করা, ইনজেকশন দেয়া, ক্যানোলা লাগানো থেকে শুরু করে সব রকমের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে ডাক্তারের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তারদের এ কাজগুলো করার কথা থাকলেও চেয়ারে বসে থেকে মিনহাজের মাধ্যমেই এ কাজগুলো করে নিচ্ছেন। কর্তব্যরত ডাক্তাররা রোগীদের প্রাথমিক এ কাজগুলোতে কখনো হাত দেন না। মিনহাজ এ কাজগুলো করার সুযোগে রোগীদের আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন বিপুল পরিমাণ টাকা। রোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজনেরা কম টাকা দিলে তাদের সাথে দূর্ব্যবহারও করতে দেখা যায়। মিনহাজের টাকা নিয়ে রোগীদের প্রাথমিক সেবা দেয়ার বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেটে পরিণত হয়েছে। প্রায় ৩ বছর
থেকে এ হাসপাতালে কাজ করার সুবাদে সর্বত্র তার দাপট পরিলক্ষিত হয়। মোঃ মিনহাজ সবার চোখের সামনে জরুরী বিভাগে টাকার বিনিময়ে স্বাস্থ্য সেবার দায়িত্ব পালন করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণ নির্বিকার থাকতে দেখা যায়। মিনহাজ জরুরী বিভাগে ব্যস্ত থাকায় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাথরুমগুলোতে বেহাল অবস্থা বিরাজ করতে দেখা যায়। বাথরুমগুলো অপরিষ্কার, দূর্গন্ধ, বাথরুমের সামনে পানিতে সয়লাব থাকতে দেখা যায়। রোগীদের নাক বন্ধ করে বাথরুমে ঢুকতে হয়। এছাড়া ওয়ার্ডগুলোর মেঝেও সব-সময় অপরিষ্কার থাকতে দেখা যায়। এদিকে সরেজমিন গত রবিবার সাংবাদিকরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে গেলে দেখা যায়, মিনহাজ হারবাং থেকে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীকে কর্তব্যরত ডাক্তারদের সামনেই কাটা জায়গা সেলাই করছেন এবং ইনজেকশন পুষ করছেন। এ বিষয়ে মিনহাজের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে, তখন মিনহাজ সাংবাদিকদের সাথে অকথ্য ভাষায় খারাপ আচরণ করে এবং সে জানায় এসব করতে তার কোন ধরনের অনুমতি লাগেনা। এসময় সাংবাদিকরা তার কর্মকান্ডের ভিডিও ধারণ করতে চাইলে মিনহাজ সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শোভন দত্তের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন এবং পরেরদিন তার অফিসে যাওয়ার আমন্ত্রণ করেন এবং মিনহাজের বিষয়ে সব কিছু বলবে বলে জানান। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, মিনহাজ যদি অতিরিক্ত কোন কিছু করে থাকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..