আনোয়ারা উপজেলার পীরখাইন গ্রামের সরওয়ার জামান হিরো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় অর্থ উপার্জন করতে পারেনা। যার ফলে স্ত্রী সহ তিন ছেলে এক মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া গুজরা গ্রামের মিনু শ্রী দাশের স্বামী মারা যাওয়ায় অর্থ উপার্জন বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে রায়পুর খোর্দ গহিরা গ্রামের মোঃ তৈয়ব আলীও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় অর্থ উপার্জন করতে পারেনা।
যার ফলে তাদের সংসার চালাতেও একই অবস্থা। এমন অসহায় তিন পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জুবায়ের আহমেদ। উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজারে তাদের তিনজনকে তিনটি দোকান করে দেন তিনি। বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে তাদের কাছে দোকানগুলো হস্তান্তর করেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেওয়া দোকান পেয়ে আবেগাপ্লুত উপকারভোগীরা।
উপকারভোগী মোঃ তৈয়ব আলী বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় অর্থ উপার্জন করতে পারিনা। অর্থের অভাবে চলেনা সংসার। এজন্য সাহায্য সহযোগিতার জন্য আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র কাছে আসি। পরে তিনি আমাকে একটা দোকান করে দেই। এটির ভাড়া থেকে আমার সংসার সুন্দর ভাবে চলবে। সারাজীবন ইউএনও’র প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব৷
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জুবায়ের আহমেদ বলেন, দুইজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও একজন স্বামীহারা মহিলা আমার কাছে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা চাইতে মাঝে মাঝে আসে। সামন্য সহযোগিতায় তাদের কিছুই হবে না এটাই চিন্তা করে তিনজনকে তিনটি দোকান করে দেওয়ার উদ্যোগ নিই। সেই দোকান নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তারা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও মহিলা হওয়ায় দোকানগুলো ভাড়া দিয়ে দিছি। সেই ভাড়ার টাকা দিয়ে সুন্দরভাবে তাদের সংসার চলবে বলে আশা করি। আজ ছয়মাসের অগ্রিম ভাড়া তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।