বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
নরসিংদী জেলা বিএনপির উদ্যোগে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচীর উদ্বোধন লোহাগড়ায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত মদনে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ভোলায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না, আমরা প্রতিকার চাই, কালীগঞ্জে ফজলুল হক মিলন খুলনা-৫ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ডাক পেলেন রুবায়েদ ও লবী‌। মির্জাপুরে গোলাপী বেগম নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার আবু বাকের মজুমদারকে লক্ষ্য করে ককটেল হামলা নেত্রকোণায় ‘সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা’ মিলছে না নড়াইলে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এইচ এম রাশেদ এর নেতৃত্বে গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণ

কুমিল্লার কৃতি সন্তান ও বাংলাদেশের কৃতিমান গীতিকবি , উজ্জ্বল নক্ষত্রের না ফেরার দেশে

মোঃওমর ফারুক কুমিল্লা
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি গীতিকবি, পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার আর নেই। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পুত্রবধূ শাহানা মির্জা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে রাজধানীর নিজ বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুর খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে অনেক তারকা শিল্পীরা ছুটে আসেন। হাসপাতালে দেখা যায় অনন্ত জলিল, বর্ষা প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেকেই। এছাড়াও ছুটে যান ঢাকার উত্তরের মেয়র আতিক রহমান তাহার ভক্তবৃন্ধ গাজী মাজহারুল আনোয়ারের এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।

এই গায়ক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের বেশকিছু গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

এদিকে, মেয়ে কণ্ঠশিল্পী দিঠি ও চাচা বিদেশ থেকে আসার পর পর গাজী মাজহারুল আনোয়ারের দাফনকার্য সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন বাবার ছেলে উপল। উপল বলছেন, ‘এখন আমরা আমার বোন ও চাচার জন্য অপেক্ষা করছি। ’

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। বাড়িধারা পার্ক রোডের বাসায় শুরুতে তাকে নেওয়ার কথা থাকলে তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের জন্ম ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩,কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলায় তালেস্বর মিয়া বাড়িতে। তিনি একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, রচয়িতা, গীতিকার ও সুরকার। স্বাধীনতা ও দেশপ্রেম নিয়ে তিনি অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান লিখেছেন। তিনি ২০০২ সালে বাংলাদেশের একুশে পদক এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। ২০ হাজারের বেশি গান রচনা করেছেন তিনি। বিবিসি বাংলা তৈরীকৃত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় রয়েছে তার লেখা তিনটি গান।

এ ছাড়া তার লেখা কালজয়ী গানগুলো হলো ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয় প্রভৃতি।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..