নড়াইলের লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে একজন বেকারী ব্যবসায়ীর হাত-পা ভেঙ্গে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে একদল দুর্বৃত্ত।
বুধবার (২২ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের সবুর সরদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজিজুর বিশ্বাস ওরফে আইজে (৪২) রামকান্তপুর গ্রামের মৃত গহর বিশ্বাসের ছেলে। নিহতের লোহাগড়া বাজারে একটি বেকারীর দোকান রয়েছে।
নিহত আজিজুরের স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গ্রাম্য কোন্দল ও পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের মৃত আমানত সরদারের ছেলে মিঠু সরদারের সাথে একই গ্রামের আজিজুর বিশ্বাসের দ্বন্ধ-সংঘাত চলে আসছিল। সৃষ্ঠ বিরোধের জের ধরে গত দু’মাস আগে নিহতের সাথে মিঠুর মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে মিঠু বাদী হয়ে আজিজুর ও তার সহযোগীদের নামে লোহাগড়া থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় নিহত আজিজুর এক সপ্তাহের হাজতবাস শেষে আদালত থেকে জামিন নিয়ে গ্রামে ফিরে আসে।
বুধবার দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে আজিজুর পার্শ্ববর্তী শিয়রবর হাট থেকে ভ্যানযোগে বাড়ি ফেরার পথে রামকান্তপুর গ্রামের কাঁঠালতলায় পৌঁছালে প্রতিপক্ষ মিঠু সরদারের নেতৃত্বে সিজান, রুবাইত, ইব্রাহিম, বক্কার, ইমনসহ ৮/১০ জনের একদল দুর্বৃত্ত তার ভ্যানের গতিরোধ করে। অবস্থা বুঝে আজিজুর প্রাণ বাঁচাতে পাশের সবুর শিকদারের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি।
ওই দৃর্বৃত্তরা সবুরের ঘরে প্রবেশ করে আজিজুরের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাতুড়ি-লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে বাম হাত ও দুই পা ভেঙ্গে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু হেনা মিলন হত্যার বিষয়টি দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিন কে নিশ্চিত করে বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে এবং হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে জন্য পুলিশী অভিযান শুরু হয়েছে ।