লালমনিরহাট টানা বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢালে আবারও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটে বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
সোমবার (২০ জুন) বিকেলে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বন্যায় এখন পর্যন্ত জেলার ৫ উপজেলার প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকা ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তীরবর্তী মানুষেরা। পানিবন্দি এসব পরিবার শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এদিকে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া নদীর তীরবর্তী মাছচাষীসহ গবাদি পশুর জন্য নিরাপদ জায়গায় নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বানভাসি মানুষেরা।
পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় হাজারো মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে করে অনেকেই ছোট ডিঙি নৌকা বা কলা গাছের তৈরি ভেলায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছেন, বন্যার্তদের সাহায্য জন্য ইতিমধ্যে সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বানভাসি মানুষের জন্য শুকনো খাবারসহ নগদ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকায় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, গড্ডিমারী ইউনিয়নে প্রায় ৩ হাজার পরিবার ৭ দিন থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাড়িঘরের চারদিকে পানির ফলে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না বানভাসিরা। দ্রুত তাদের জন্য খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, জেলার পাঁচ উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকার জন্য ১শত ৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যে সকল এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তাদের শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।