নীলফামারী
জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় টিকটক করতে গিয়ে নদীতে ডুবে মোস্তাকিন (১৬) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার (২০শে মে) সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের খড়খড়িয়া নদীর দীঘলডাঙ্গী ব্রিজে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের চাচা মো. মোখলেছুর রহমান জানান, উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বোতলাগাড়্রী গ্রামের মন্টু রহমান ও আহেলা খাতুন দম্পতির ছেলে মোস্তাকিন। সে সৈয়দপুর শহরের অদূরে ঢেলাপীরে একটি সাবান কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। ঘটনার দিন শুক্রবার কারখানায় সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সে তাঁর কয়েকজন বন্ধুসহ বাড়ির পাশের খড়খড়িয়া নদীর দীঘলডাঙ্গী ব্রিজে যায়। এ সময় টিকটক তৈরি জন্য নদীর ব্রিজের ওপর থেকে পানিতে লাফ দেয় মুস্তাকিম। এ সময় ব্রিজের ওপর থেকে লাফিয়ে পড়ে নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় সে। লাফ দেয়ার এ দৃশ্যটি টিকটক করার জন্য বন্ধুরা তার মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও করছিলো।
খবর পেয়ে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুঁটে এসে তাঁকে উদ্ধারে নদীতে নামেন। এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে ঘটনাস্থল দীঘলডাঙ্গী ব্রিজের ৫০ গজ দূর থেকে মোস্তাকিনকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। মুস্তাকিমকে অচেতন অবস্থায় সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. তারেক হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। সকল আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসানাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। সামাজিক অবক্ষয় রোধে বাংলাদেশে টিকটক লাইকির মতো অপসংস্কৃতি বন্ধে সকলকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এই প্রজন্মের জন্য সুন্দর, সাবলীল বিনোদনের ব্যবস্থা করে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক কার্যকলাপে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে সকলকে। সামাজিকভাবে অভিভাবক ও সমাজের সবাই এগিয়ে আসলেই আগামী প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করা যাবে।