মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কক্সবাজার জেলায় ১০ম বারের মতো শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারি অফিসার মহসিন ও শ্রেষ্ঠ অস্ত্র উদ্ধারকারী সোলায়মান লোহাগড়ায় নবগঙ্গা ডিগ্রী কলেজের দূর্নীতিবাজ সভাপতি রাশিদুল বাশার ডলারের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্সী নজরুল ইসলামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  মিল্টন ব্লেড-ছুরি দিয়ে নিজেই অপারেশন করতেন, তথ্য জানালো ডিবি মধুখালিতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা বিএনপির দন্তত কমিটির বিচার দাবি লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ  লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি- স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি শিক্ষার্থীবান্ধব হবে কবে? ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাচনে সুবিধাজনক স্থানে আবু তালেব, লড়ে যাবেন সেলিম আকবর এবং শামশু। আমরা চাই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহন করুক, যত বেশী অংশ গ্রহন করবে ততবেশী প্রতিযোগিতা পূর্ণ হবে,

পঞ্চগড়ে ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়ে(এসআই)বিয়ে করলেন বিধবা নারীকে,

স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২

পঞ্চগড়ে এক বিধবা নারীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় কারাগারে যাওয়া পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল (৪৫) জামিন পেয়ে সেই নারীকে বিয়ে করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকালে বাদীপক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান মিলন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (২৩ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দেনমোহরে ওই নারীকে বিয়ে করেন আব্দুল জলিল। তবে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে আব্দুল জলিল জামিন আবেদন করলে মামলার বাদীকে বিয়ে করার শর্তে ট্রাইবুন্যালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার জামিন মঞ্জুর করেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তি গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর ফুলিয়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে আব্দুল জলিল। তিনি কুড়িগ্রাম সদর থানায় কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি পঞ্চগড় সদর থানায় কর্মরত ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী তার মৃত স্বামীর ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আব্দুল জলিল সেটির তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। সেই সুবাদে ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ ছিল তার। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবও দেন। এক পর্যায়ে একই বছরের গত ৬ অক্টোবর রাতে ঘরে ঢুকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সেখানে ধরাও পরেন তিনি। এ সময় আব্দুল জলিল ভুক্তভোগীকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরে তার পরিচিত দুজনকে ডেকে এনে মিথ্যা বিয়ের নাটকও সাজান।

এদিকে গত ২৩ জানুয়ারি ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলা আমলে নিয়ে আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করে আদালত। পরে উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পান জলিল। উচ্চ আদালতের অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত রোববার (২০ মার্চ) পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে স্থায়ী জামিন চাইলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

ভুক্তভোগী বলেন, পঞ্চগড়ে কর্মরত থাকাকালীন আব্দুল জলিল আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিলেও বিয়ের কাগজ দেখাতে কালক্ষেপণ করছিল। নানা অজুহাত দেখিয়ে একসময় বদলি নেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান।৭ অক্টোবর পঞ্চগড় আদালতে সাক্ষী দিতে আসবেন এবং সেদিনই আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাবেন। ৭ তারিখে আসেনও এবং আমার বাড়িতেই রাতযাপন করেন। কিন্তু পরদিন আদালতে সাক্ষী দিয়ে আর আমার সঙ্গে দেখা করেননি। ফোনে যোগাযোগ করলে মিথ্যা বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করে বিভিন্ন রকম হুমকি দেন।

তিনি আরও বলেন, ন্যায় বিচার পেতে আমি আদালতে এসেছিলাম। আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। এজন্য আদালতের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান মিলন বলেন, জলিলের স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে ভুক্তভোগী নারী আদালতে এসেছেন। আদালত ন্যায় বিচার দিয়েছে। আমরা আদালতের প্রতি সন্তুষ্ট।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..