দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে সিআইডির রংপুর কার্যালয়ের এএসপিসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। সদর উপজেলার বাশেরহাট থেকে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে তাদের আটক করা হলেও বিষয়টি বুধবার জানাজানি হয়।
আটক তিনজন হলেন রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রংপুর সিআইডির ভারপ্রাপ্ত এসপি আতাউর রহমান। তিনি জানান, আটক এএসআই ও কনস্টেবল ২১ আগস্ট থেকে দশ দিনের ছুটিতে ছিলেন। তারা কোনো একটি অভিযোগের তদন্তে দিনাজপুর গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারি গাড়ি ব্যবহার না করে আমার অনুমতি ছাড়া ভাড়া করা একটি গাড়ি নিয়ে তারা অপারেশনে যায়। আটক হবার পর আমাকে জানানো হয়েছে। তারা যে আমাদের স্টাফ তা আমি জানিয়েছি। এর বাইরে কিছু জানি না।’
ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সিআইডির কাছে পলাশ নামের এক ব্যক্তি চিরিরবন্দর থানার লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় লুৎফরের বাড়িতে যান এএসপি সারোয়ার কবিরসহ তিন জন। লুৎফরকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও ছেলেকে একটি কালো মাইক্রোবাসে উঠিয়ে সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মুক্তিপণ দাবি করেন। তারা পরিবারের লোকজনকে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে এ ঘটনায় থানা পুলিশের কাছে যান ভুক্তভোগীর স্বজনরা।
এক পর্যায়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ভুক্তভোগীর স্বজনরা সাড়ে আট লাখ টাকা নিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান। তারা প্রথমে রানীরবন্দর আসতে বলেন। সেখানে আসলে তাদেরকে টাকিা নিয়ে দশমাইল আসতে বলা হয়। আবার দশমাইল আসলে বাশেরহাট আসতে বলে।
পরে দিনাজপুর জেলা পুলিশ ও সিআইডি মিলে বাশেরহাট থেকে তাদেরকে আটক করে। আটকের পর প্রথমে চিরিরবন্দর পরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এএসপি সারোয়ার কবিরসহ তিন জন এখনও দিনাজপুর পুলিশের হেফাজতে আছে বলে জানা গেছে।