শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নে ০৯নং ওয়ার্ডে রাস্তার কাজে অনিয়ম। ধর্মপাশায় পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠান বান্ধবীকে শার্ট-ক্যাপ পরিয়ে হলে নিয়ে রাবি ছাত্রের রাত্রিযাপন রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের ২০২৪-২৫ সালের গাছ কাটা সংক্রান্ত মিডিয়া মনিটরিং রিপোর্ট প্রকাশ। লোহাগড়ায় বিধবা নারীকে ধর্ষণ, মামলা দায়ের মাধবপুরে ৯ বছরের শিশুকে কু’পিয়ে হ’ত্যা লোহাগড়ায় ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার গলাচিপার চরকাজল বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জেরা প্রশাসন: আজ ত্রাণ বিতরণ শেখ হাসিনাসহ ১২ জনকে আদালতে হাজিরে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

বান্ধবীকে শার্ট-ক্যাপ পরিয়ে হলে নিয়ে রাবি ছাত্রের রাত্রিযাপন

বিশেষ প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫

বান্ধবীকে শার্ট-ক্যাপ পরিয়ে হলে নিয়ে রাবি ছাত্রের রাত্রিযাপন

শার্ট ও ক্যাপ পরিয়ে বান্ধবীকে হলে নিয়ে রাত্রিযাপন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের এক আবাসিক ছাত্র। গত ৪ জুন হলের ১৫৩ নম্বর রুমে এই ঘটনা ঘটে।
মেয়ে নিয়ে আসা ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী। ছেলেটির বাসা মাদারীপুর। ওই নারী শিক্ষার্থী একই বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী দুই ছাত্রের ভাষ্যে, ‘আমরা ৪ তারিখ ভোরে বাড়ি ফিরব বলে সবকিছু গুছিয়ে হলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে দেখি, একটা ছেলে সাইকেল চালিয়ে আমাদের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। তার সাইকেলের পেছনে একটি মেয়ে বসা, মেয়েটির গায়ে স্কুলের শার্ট আর মাথায় ক্যাপ ছিল। বিষয়টি আমাদের চোখে অস্বাভাবিক ঠেকায় আমরা তাকে ধরার চেষ্টা করি, কিন্তু সাইকেলের গতি এত বেশি ছিল যে পিছু নিয়েও ধরতে পারিনি। এমনকি দারোয়ান মামাও তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হন।’

অভিযুক্ত রাবি ছাত্র নাজমুল ইসলাম নারী শিক্ষার্থীকে হলের রাখার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গত তিন তারিখে আমার জন্মদিন ছিল। সেদিন কেক কেটে রাত হয়ে যায়। এদিকে ওর মেস থেকে তিন তারিখের মধ্যে চলে যেতে বলে। ও মেসে যেতে পারবে না বলে আমাকে অনুরোধ করে রাখার জন্য। পরে আমি ওকে রাতে হলে নিয়ে আসি। মূলত আমি ওকে শেল্টার দেওয়ার জন্য রাখি। পরে সকালে চলে যায়। তখন কেউ হয়তো আমাদের দেখে। এ বিষয়ে প্রভোস্ট স্যার আমাকে ডেকেছিল। আমি তাকে বিষয়টি খুলে বলি। তিনি আমাকে হল থেকে বহিষ্কার করেন এবং বিষয়টি জানাজানি হবে না বলেও আমাকে জানিয়েছিলেন।
এদিকে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ‘হলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি একটি ভয়াবহ অপরাধ, এত বড় সাহস হয় কীভাবে? আমরা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ওই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষ, গেটম্যান ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে এমন গর্হিত কাজ কীভাবে ঘটল, তার সঠিক ব্যাখ্যা চাই।’
হবিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. মোতাহার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি এবং ঘটনাটিও সত্যি। হল প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তার সিট বাতিল করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি তার বিরুদ্ধে বাকি সিদ্ধান্ত নেবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, এটা অবশ্যই সাংঘাতিক একটি ঘটনা। এমন ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে সেটা অনেক বড় অপরাধ। আমরা খোঁজ নেব, বিষয়টি সত্যি হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..