বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৯ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
যে কারনে টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন নেত্রকোণায় নাশকতা মামলায় যুবলীগের সভাপতিসহ ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার জুলাইয়ে বীর শহীদদের প্রতি এবি পার্টির নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের শ্রদ্ধা নিবেদন বছর ধরে মেধাবীদের শিক্ষা বৃত্তি দিয়ে যাচ্ছেন কালাম নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগের ১৫ নেতাকর্মী কারাগারে   জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা পত্রের দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেন সা’দত কলেজ বিজিবি কর্তৃক ভারতীয় মদ জব্দ এবি পার্টির নতুন চেয়ারম্যান মজিবুর মঞ্জু, জেনারেল সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ শাহ আলম পালানোর ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানার ওসি প্রত্যাহার চিত্রনায়িকা নিপুন সিলেটে থেকে আটক

ভোলার চরফ্যাশনে মসজিদে তালাবদ্ধ মুসল্লিরা জুমার নামাজ আদায় রাস্তায়

দৌলতখান উপজেলার প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪

 

ভোলার চরফ্যাশন ইমাম ও মুসল্লীদের মারধর করে মসজিদে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জিয়াউদ্দিন সোহাগ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। সে উপজেলার আছলামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহমেদের ছেলে। মসজিদে তালাবদ্ধ থাকায় শত মানুষ  স্থানীয় মুসল্লিরা মসজিদে ঢুকতে না পেরে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করলেন খোলা আকাশের নিচে তীব্র রৌদ্র বিতর রাস্তায়। অদ্য ৭ জুন শুক্রবার উপজেলার আছলামপুর ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত বাইতুস সালাম জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটেছে।

 

এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩ বছর আগে জিয়াউদ্দিন সোহাগের নিকট থেকে বাইতুস সালাম জামে মসজিদ স্থাপনের জন্য ২২ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়। বায়না চুক্তি অনুযায়ী মুসল্লিগণ মসজিদ স্থাপন করে দীর্ঘদিন যাবত জুমার নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আসছেন। পর্যায় ক্রমে সকল টাকা পরিশোধ করলেও এখন জমির দলিল দিতে অস্বীকৃতি জানায় সোহাগ। সোহাগের দাবি ৩ বছর পূর্বের চুক্তিপত্র বাতিল করে বর্তমান মূল্যে তাকে জমির দাম পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে জমির দলিল দেয়া হবে না। সেই সঙ্গে মসজিদে কোন মুসল্লি নামাজ আদায় করতেও পারবে না। গত (৩ জুন সোমবার) তাঁর কথা অমান্য করে জোহরের নামাজ আদায় করতে গেলে ইমাম ও মুসল্লিদের মারধর করে মসজিদে তালা লাগিয়ে দেন জিয়াউদ্দিন সোহাগ।

মসজিদ কমিটির সভাপতি কফিলউদ্দিন হাওলাদার বলেন, সোহাগ মুসল্লিদের মারধর করে মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছে। অতিরিক্ত টাকা না দেওয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছে।

আছলামপুর ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইয়াছিন সেলিম মসজিদে তালা দেওয়া ও মুসলিমদের মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান ছাড়াও আমার পক্ষে সোহাগের বিচার করা সম্ভব নয়।

আছলামপুর ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল হাসেম হাওলাদার বলেন, মসজিদ টি আমার বাড়ির পাশে হওয়ায় আমিও একজন মুসল্লি। সোহাগের হুমকি ও মারধরের ভয়ে গত পাচঁদিন মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ আছে। তাই মসজিদের সকল মুসল্লিদের সিদ্ধান্তে আমরা আজ জুমার নামাজ এই তীব্র গরমে রাস্তায় আদায় করেছি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জিয়াউদ্দিন সোহাগ বলেন, আমার পাওনা টাকা দিয়ে নামাজ পড়তে বলেছি। মসজিদে তালা দিলেও পরে আমি চাবি নিতে সভাপতির নিকট ফোন করেছি। তবে কেউ চাবি নিতে আসেননি।

আছলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিলিটারি বলেন, এ বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এমন ন্যাক্কার জনক কর্মকাণ্ডের জন্য সোহাগের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..