বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নড়াইলে চিত্রা নদী থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটে দাঁড়িয়ে থাকা পিকাপ ভ্যান এর পেছনে ট্রাকের ধাক্কায় নি*হত ১ জোবিঅ সোনারগাঁও এর উদ্যোগে অবৈধ তিতাস গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ কাজ চলমান । বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) ক্লোজড বাগেরহাটের রামপাল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে আলী সরদার নামে এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার লোহাগড়ায় বিয়ের ৫ মাস না পেরোতেই দূর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন সাভারে তিনশত পিছ ইয়াবাসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার নড়াইলে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় কিশোরের আত্মহত্যা সাতক্ষীরায় তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন সেরা ৫ জন কৃষকে পুরস্কার বিতরণ এসএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড। আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট

লোহাগড়ায় পুলিশের তান্ডব প্রতিবাদে  এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন 

শরিফুজ্জামান, নড়াইল প্রতিনিধি :
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি মধ্যে পাড়ায় পুলিশী তান্ডব ভাংচুর ও মারধরের প্রতিবাদে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও  মানববন্ধন করেছে।

আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকালে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হলে লোহাগড়া থানা পুলিশের অভিযানিক দল মানববন্ধন পন্ড করে দিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে আসামি ধরার নামে ব্যাপক তল্লাশি চালায়। এ সময়  পুলিশ ১০ থেকে ১২টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়,
পরে পুলিশ ওই এলাকা ত্যাগ করেলে স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিল ও  মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া কুমড়ি  মধ্য পাড়ার ফিরোজ মোল্লার স্ত্রী  শরিফা বেগম, মইনুল মোল্লার স্ত্রী মুনিয়া, আতিয়ার রহমানের স্ত্রী রেক্সোনা বেগম, ফারহানা ইসলামসহ স্থানীয়রা বলেন, গত বুধবারে লোহাগড়া থানা পুলিশ কুমড়ি মধ্যপাড়া গ্রামের একাধিক মামলার আসামি মশি মোল্লাকে গ্রেফতার করে হাত কড়া পরিয়ে তাকে নিয়ে অন্য বাড়িতে আসামি ধরার জন্য গেলে     আসামি মশি মোল্লা হ্যান্ডকাপ পড়া অবস্থায় পালিয়ে যান। উক্ত  আসামি হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে গেলে সেই দিনে পুলিশ কুমড়ি মধ্যপাড়া এলাকায় এসে ঘরবাড়ি আসবাবপত্র ভাঙচুর সহ নারকীয় তাণ্ডব চালাই, লোহাগড়া থানা পুলিশের এহেনও নারকীয় তাণ্ডবের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার এলাকাবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করে। লোহাগাড়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে মানববন্ধন পন্ড  করার জন্য পুনরায় ওই গ্রামে এসে নারী-পুরুষ শিশুসহ মধ্যযুগীয় কায়দায় ব্যাপক মারধর ও ভাঙচুর চালায়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন লোহাগড়া থানার এএসআই মাজহারুল ইসলাম, এস আই মামুন, ও এস আই অমিত এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ নারকীয় এ তান্ডব চালায়।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কুমড়ি মধ্য পাড়ার হাফিজুর শেখের মেয়ে নিক ও স্ত্রী জেসমিন বেগমকে ব্যাপক গালিগালাজ ও ধাওয়া করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং পরবর্তীতে তার বাড়িঘর আসবাবপত্র ভাঙচুর ও কৃষি কাজে ব্যাবহ্ত সরন্জাম বস্তা ভরে নিয়ে যায়। মোল্লা মশিউর রহমানের বাড়ি, হাজী আব্দুল আজিজ এর বাড়িতেও ব্যাপক ভাংচুর ও তান্ডব চালায়।
অশতিপর বৃদ্ধ হাজী আব্দুল আজিজ ও রকিব উদ্দিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় পুলিশ উক্ত গ্রামের ফিরোজ মোল্লা, মসি শেখ, আতি মোল্লা, কবুল মোল্লাসহ প্রায় দশটি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। কামাল মোল্লার ছেলে ১২ বছরের শিশু আবির মোল্লা বলেন, আমাকে পুলিশ মারধর ও বুট জুতা দিয়ে  পাছায় লাথি মেরেছে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা লোহাগাড়া থানা পুলিশের এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ও শাস্তি  দাবি করেছেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..