বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট থানাধীন মাদারতলী এক গ্রামের আশিক কুমার মন্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মোল্লহাট থানার একটি চৌকশ পুলিশ টিম ডিএমপি তেজগাও, মহাখালী ও আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া আসামী মোহাম্মাদুল্লাহ শেখ @ বাঁধনকে গ্রেফতার করেন,
উল্লেখ্য -আশিষ কুমার মন্ডল(৩৫), পিতা-কালীপদ মন্ডল, সাং-মাদারতলী, থানা-মোল্লাহাট, জেলা-বাগেরহাট থানায় হাজির হইয়া আসামী সুজন বিশ্বাস(৩০), পিতা-মৃত সৈয়দ বিশ্বাস, সাং-বড় গাওলা, থানা-মোল্লাহাট, জেলা-বাগেরহাট সহ অজ্ঞাতনামা ০২ (দুই) জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন যে, সে নাশুখালী বাজারের একজন মাছের ব্যবসায়ী। উল্লেখিত আসামী তাহার পিকআপ গাড়ির ড্রাইভার এবং সে তাহার ব্যবসায়িক ও আর্থিক কাজে বাহক হিসাবে সার্বক্ষনিক সহায়তা করে। গত ইং ২৮/০১/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত পিকআপের ড্রাইভার সুজন যশোরে এমএমসি মাছের কোম্পনিতে তাহার পাঠানো মাছ পিকআপ গাড়িতে সরবরাহ করে ফিরে আসার পথে ফকিরহাট পুবালী ব্যাংক থেকে এমএমসি কোম্পনির পাঠানো ৮,৩৫,০০০/- (আট লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার) টাকা উল্লেখিত ড্রাইভার তাহার স্বাক্ষরিত চেকের মাধ্যমে ব্যাংক হইতে টাকা উত্তোলন করিয়া তাহার ম্যানেজার রমেন, মোবাইল-০১৩৩০-৬৯২২৭২, পিতা-মৃত সন্তোষ সানা, সাং-সোনাদানা, থানা-পাইকগাছা, জেলা-খুলনা সহ তাহার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান নাশুখালী বাজারের উদ্দেশ্যে পিকআপ গাড়ি যোগে টাকা সহ রওনা হয়। পথিমধ্যে ফকিরহাট থানাধীন ফলতিতা বাজারে পৌছাইলে তাহার ম্যানেজার রমেন উক্ত টাকার মধ্য থেকে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা নিয়া তাহার পাওনাদার আজিজুল, মোবাইল-০১৯১৫-৭২৭৪৫৩, পিতা-নওয়াব আলী হাওলাদার, সাং-চিতলমারী, থানা-চিতলমারী, জেলা-বাগেরহাট দেওয়ার জন্য পিকআপ থেকে ফলতিতা বাজারে নেমে যায়। বাকি ৬,৩৫,০০০/- (ছয় লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার) টাকা নিয়া উল্লেখিত ড্রাইভার সুজন বিশ্বাস(৩০) নাশুখালী বাজারে তাহার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। উক্ত ড্রাইভার যথা সময়ে টাকা নিয়া নাশুখালী পৌছাইতে বিলম্ব হইলে বাদী তাহাকে মোবাইল করে, কিন্তু সে মোবাইল ফোন রিসিভ করে না। কিছুক্ষন পর একটি অপরিচিত পথচারী মোবাইল নাম্বার ০১৭৮২-১৪৪০৯০ থেকে তাহার মোবাইলে ফোন করে বলে যে, তাহার ড্রাইভার সুজন কেন্দুয়া জোড়া ব্রীজের কাছে অসুস্থ্য অবস্থায় পড়ে আছে, তাহার নিকট থেকে টাকা ছিনতাই হয়ে গেছে। তখন সে দ্রুত কেন্দুয়া জোড়া ব্রীজের কাছে আসে এবং দেখিতে পাই যে, উক্ত আসামী সুজন মহাসড়কের পাশে থামানো পিকআপের কেন্দুয়া জোড়া ব্রীজের কাছে রাস্তার উপর বসে আছে। সে যাওয়া মাত্র ড্রাইভার সুজন বলে যে, অজ্ঞাতনামা দুইজন লোক একই তারিখ ০২.৩০ ঘটিকার সময়ে মটর সাইকেলে আসিয়া পিকআপ থামাইয়া জোর পূর্বক ৬,৩৫,০০০/- (ছয় লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার) টাকা নিয়া গিয়াছে। কিন্তু ড্রাইভার সুজনের কথা তাহার সন্দেহ জনক মনে হয়, কারণ ড্রাইভার সুজন যে মটর সাইকেলে বর্ননা দিয়েছে ফকিরহাট থানাধীন ফলতিতা পাম্পের সিসি ক্যামেরায় ঐ বর্ননার কোন মটর সাইকেল সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায় নাই। এছাড়া উক্ত ড্রাইভারের স্বভাব চরিত্র ভাল না, বাদীর ধারনা পিকআপের ড্রাইভার সুজন বিশ্বাস(৩০) তাহার সঙ্গীয় অপর দুইজনের কুপরামর্শে ও সহযোগিতায় অপরাধ মূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করিয়া প্রতারনার মাধ্যমে আমার ৬,৩৫,০০০/- (ছয় লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার) টাকা আত্মসাৎ করিয়াছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে পিক-আপ ড্রাইভার সুজন বিশ্বাস(৩০), পিতা-মৃত সৈয়দ বিশ্বাস, সাং-বড় গাওলা, থানা-মোল্লাহাট, জেলা-বাগেরহাট এর কু-পরামর্শে ও পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক সন্দিগ্ধ আসামী মোহাম্মাদুল্লাহ শেখ @ বাঁধন(১৮), পিতা-রুবেল ইসলাম বরকত, সাং-গাওলা, থানা-মোল্লাহাট, জেলা-বাগেরহাট ঢাকা থেকে আসিয়া ড্রাইভার সুজনের নিকট থেকে উক্ত টাকা নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। ড্রাইভার সুজন বিশ্বাসকে গ্রেফতারের পর তাহার স্বীকারোক্তি ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মোল্লহাট থানার একটি চৌকশ পুলিশ টিম ডিএমপি তেজগাও, মহাখালী ও আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া আসামী মোহাম্মাদুল্লাহ শেখ @ বাঁধনকে গ্রেফতার ও তাহার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে বাদীর আত্মসাৎকৃত ০৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে ০৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। অবশিষ্ট টাকা উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আশরাফুল আলম, দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিন কে জানান,গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।