গত ৩১শে আগস্ট ২০২৩খ্রিঃ আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা হতে অমিতাব সাহা, সাং-বিনোদপুর, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-মাগুরা। বর্তমান ঠিকানা-কবি সুকান্ত সড়ক, আদর্শপাড়া, ঝিনাইদহ এলাকা হতে নিখোঁজ হয়। গত ৩১/০৮/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে অমিতাব সাহার স্ত্রী তিশা নন্দী সদর থানায় একটি নিখোঁজ অভিযোগ করেন।
তার পরিপ্রেক্ষিতে সদর থানা, জেলা ডিবি টিম, জেলা সাইবার টিম, র্যাব-৬ অমিতাব সাহার খোঁজ করতে থাকে। পরবর্তীতে গত ০৩ সেস্টেম্বর আনুমানিক সকাল ১০ঘটিকায় ঝিনাইদহ সদর থানার পৌরসভার ধোপাঘাটা পুরাতন ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি অর্ধগলিত লাশ দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন দেওয়া হয় এবং ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ ও ঝিনাইদহ জেলা সিআইডি টিম
ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করতে থাকে।
কিছুক্ষণ পর তিশা নন্দী ঘটনাস্থলে এসে লাশটি তার স্বামী অমিতাব সাহা @ অমিত বলে সনাক্ত করেন।
একই দিনে দুপুর ০২.৩০ ঘটিকায় ভিক্টিম অমিতের স্ত্রী তিশা নন্দি বাদী হয়ে আসামী রাজলু হোসেন রাজু পিতা-মুনাব্বর হোসেন, সাং-হাটগোপালপুর, বর্তমান ঠিকানা-মহিলা কলেজপাড়া,ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ এর (অজ্ঞাতনামাসহ) বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যা ঝিনাইদহ সদর থানার মামলা নং-০৩, তাং-০৩/০৯/২৩খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪/২০১ পেনাল
উক্ত হত্যার ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হলে এলাকায়
জনমনে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয় এবং পুরো দেশ জুড়ে আলোচনা চলতে থাকে ।
পুলিশ সুপার, ঝিনাইদহ তাৎক্ষণিক হত্যার মূল রহস্য উৎঘাটন ও সংশ্লিষ্ট আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সদর থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, ঝিনাইদহের একটি চৌকস টিমকে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), ঝিনাইদহ হত্যা মামলার ইনভেস্টিগেটিং অফিসার, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও
নির্দেশনা প্রদান করতে থাকে।
তারই ধারাবাহিকতায় হত্যার ঘটনা সংক্রান্তে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করে গতকাল ১০/০৯/২৩খ্রিঃ তারিখ রাত ১০.৩০ ঘটিকার সময় তথ্য-প্রযুক্তি ও সোর্সের মাধ্যমে এজাহার নামীয় আসামী রাজলু হোসেন রাজুকে মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের পলায়নের চেষ্টাকালে মামলার তদন্তকারী অফিসার,সাইবার ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশন সেল ও ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের চৌকস টিম মেহেরপুর সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকা হতে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে আসামী রাজলু, অমিত হত্যার ঘটনা সংক্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান
করেছে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিজ্ঞ আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
মামলাটি তদন্তাধীন আছে।
এদিকে প্রেস ব্রিফিং সাংবাদিকদের একটিই প্রশ্ন অমিতাবের স্ত্রী রাজলুর সাথে জাকারিয়া মিলনের নাম বার বার ফলাও বলা স্বত্বেও ঝিনাইদহের জাকারিয়া মিলনের নাম কেনো এই মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
জবাবে প্রশাসন জানান,মামলার আসামি রাজলু ও অজ্ঞাতনামা তবে যারাই এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..