বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ড এ বিজয়ী হলো চট্টগ্রামের রোবট্রি বাংলাদেশ।
মোঃআসিফুল ইসলাম সানি, বিশেষ প্রতিনিধি,চট্টগ্রামঃ
বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ) এ সেরা ৫২ স্টার্টআপ পেয়েছে ৭ কোটি টাকা। বিগ- ২০২৩ এর এবারের আয়োজনে সেরা ৫০টির মাঝে থেকে বিজয়ী হয়েছে চট্টগ্রামের তরুণ উদ্যক্ত্যাদের প্রতিষ্ঠিত রোবট্রি বাংলাদেশ। পুরষ্কার হিসেবে স্টার্টআপটি পেয়েছে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান।তরুণ উদ্যোক্তা বা স্টার্টআপদের অনুপ্রাণিত করতে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া)’ বিগের আয়োজক। এটি তৃতীয় আয়োজন।ডেয়ার টু স্ট্যান্ড বিগ’ স্লোগানে এবারে সারাদেশে ক্যাম্পেইন শেষে প্রাথমিক পর্যায়ে ৬ হাজার ৮৪৬টি স্টার্টআপ ও উদ্ভাবক এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে আবেদন করেছিলো।শনিবার রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গ্র্যান্ড ফিনালেতে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
রোবট্রি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও হেড অফ আরএনডি সাইফুদ্দীন মুন্না, তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ২০২০ সালে করোনা মহামারীরিক সময়ে আমাদের এই স্ট্যাট-আপটি প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে রোবটিক্সের মতো বিষয়কে কিভাবে উৎসের সাথে শেখানো যায় এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে আমরা। আমাদের শেখার কিডবক্স ইতিমধ্যে বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে আমাদের ট্রেনিং ম্যানুয়ালগুলো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের স্তরে শিক্ষার্থীদের মাঝে। আমরা বিশ্বাস করি যে সকল শিক্ষার্থী আর ছোটবেলায় এ ধরনের রোবটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা আইওটি নিয়ে কাজ করবে তারা ভবিষ্যতে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ করার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ্য হাতে নিয়েছে সেটি সুচারুভাবে সম্পন্ন হবে।
সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং চিফ টেকনোলজি অফিসার আমিনুল ইসলাম তাদের এই প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, বিগ-২০২৩ আয়োজন এক কথায় অসাধারণ। দেশের প্রায় ৭হাজার স্টার্টআপ এর সাথে প্রতিযোগিতা করে ফাইনাল রাউন্ডে যাওয়া এক অন্যন্য প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা। ফাইনালিস্টদের নিয়ে যোশর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে আয়োজন করা হয় ৩দিনের বুটক্যাম্প। যেখানে একটা আইডিয়া থেকে কিভাবে সফল ব্যবসাতে রূপান্তর করা যায় সেটার প্রশিক্ষণ প্রদান করেন দেশ সেরা সফল উদ্যোক্তারা। সরকারি প্রচেষ্টাতে এই ধরনের আয়োজন দেশের উদ্ভাবন এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে আরো অনেক দূর নিয়ে যাবে। আশা করি সফল আয়োজনের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
প্রতিষ্ঠানের অন্যন্যদের মধ্যথেকে সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্তাবক দাশ, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ মুসা, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইউনুছ মোস্তফা, সহ-প্রতিষ্ঠাতা দেবাশীষ ধর, সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাঈম ঊল হক, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফারহান ইশরাক তাদের এই প্রতিষ্ঠানটি সামনের দিন গুলোতে বাংলাদেশের প্রযুক্তির বাজারে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন।