পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে টানা বর্ষণে খেতে পানি জমে গেছে। এতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকরা। গত বুধবার (২৯মার্চ)দুপুর থেকে ভারী বর্ষন হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। বৃষ্টি হওয়ার আগে বেশ কিছুদিন যাবত ভ্যাপসা গরম ছিল। বুধবার থেকে অনবরত বৃষ্টি হওয়ার কারণে রবি ফসল ও বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে
জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস।
শনিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বড়বাইশদিয়া, রাঙ্গাবালী ,ছোটবাইশদিয়া, মৌডুবী, চালিতাবুনিয়া ও চরমোন্তাজসহ ৬ ইউনিয়নে ৩ দিনের বৃষ্টির কারনে রবি ফসলের খেতে পানি জমে গেছে। ফসলের মাঠগুলোতে মুগডাল, আলু, মরিচ, চীনাবাদাম ও বোরো ধান রয়েছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে মিষ্টি আলু ১৮৫, মুগডাল ১২২২৫, প্লেনডাল ১৩৮০, চিনাবাদাম ১২৮০, মরিচ ১১২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের চাঁষ হয়েছে।
বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কৃষক জাহাঙ্গীর জানান, ১ একর জমিতে তিনি চিনাবাদাম ও মরিচ আবাদ করেছেন। একবার বৃষ্টি হয়ে গেছে বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সব শেষ হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। তবে বৃষ্টি বাড়লে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে।
রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের কৃষক ফারুক জানান, এ বছরে ১ একর ৬০ শতক জমিতে মুগডাল ও চীনাবাদামের চাষাবাদ করেছি। সার-ঔষাধের দাম একটু বেশি হওয়ায় খরচ হয়েছে ব্যাপক। দুই/ তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে গেছে। এতে করে বাদাম পঁচে যাবে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে চাঁষাবাদ করেছি।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইকবল আহম্মেদ জানান, বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে টানা ৩ দিন বৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় খেতে পানি জমে গেছে। আমরা সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছি এবং কৃষকদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। বিশেষ করে চীনাবাদাম ও মরিচের ক্ষতি হয়েছে। আরো কয়েকদিন বৃষ্টি হলে লোকসানে পড়তে হবে কৃষকদের।