রোমাঞ্চকর একটা ম্যাচ উপহার দিলো মরক্কো ও স্পেন। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রেণু ছড়াল উত্তেজনা। অথচ দুই ঘণ্টার তুমুল লড়াইয়ের পরও ম্যাচটা ফল উপহার দিতে পারল না। এক দলের বিদায় নিশ্চিত করতে থ্রিলার ম্যাচটা গড়ায় ভাগ্য নির্ধারণীর খেলা টাইব্রেকে।সেখানেই বাজিমাত করল মরক্কো। পেনাল্টি শ্যুট আউটে স্পেনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল আফ্রিকান দেশটি। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল মরক্কো। আর হৃদয়ভাঙা হারে বিদায় নিলো সাবেক ইউরো-বিশ্ব-ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন।এবারের কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বজুড়ে দেখা গিয়েছে একটার পর একটা অঘটন। কিন্তু নক আউট পর্বে এসে খেই হারিয়ে ফেলছিল তুলনামূলক ছোট দলগুলো। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে প্রত্যাশিত জয় দিয়েই পরের ধাপে উঠেছে ‘বড়’ দলগুলো। ব্যতিক্রম কেবল ক্রোয়েশিয়া।শেষ ষোলোর গণ্ডি পাড়ি দিতে টাইব্রেকার পর্যন্ত যেতে হয়েছে তাদের। শেষ পর্যন্ত জাপানের বিপক্ষে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্রোয়াটরা। কিন্তু তাদের পদাঙ্ক অনুকরণ করতে পারল না ইউরোপের আরেক জায়ান্ট দল স্পেন। বিস্ময়করভাবে পেনাল্টি থেকে কোনো গোলই পায়নি তারা।স্পেন প্রথম তিনটি পেনাল্টি শটই মিস করে। তৃতীয় পেনাল্টি মিস করেন অধিনায়ক সার্জিও বুসকেটস। বিপরীতে তিন পেনাল্টির কেবল একটি মিস করে মরক্কো। তাতে অবশ্য জয় আটকায়নি তাদের। পরের দুটি পেনাল্টি হয়ে যায় স্রেফ নিয়মরক্ষার।মরক্কোর ইতিহাস গড়া জয়ের নায়ক কয়েকজনই। ডিফেন্ডাররা আলো ছড়িয়েছেন। পুরো দুই ঘণ্টায় স্পেনের একের পর এক আক্রমণ প্রতিহত করেছেন। সুযোগ বুঝে পর্যাপ্ত আক্রমণও করেছেন দলটির ফরওয়ার্ডরা। তাদের শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে রেখেছেন গোলরক্ষক বোনো।স্পেনের সারাবিয়া ও বুসকেটসের পেনাল্টি ঝাঁপিয়ে রুখে দেন তিনি। শুধু টাইব্রেকে নয়, ম্যাচজুড়ে এমন অসংখ্যবার দলকে গোল হজমের হাত থেকে বাজিয়েছেন এই গোলরক্ষক। খুব স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের নায়ক তিনি। আশরাফ হাকিমি, হাকিম জিয়াচরা থাকলেন পার্শ্বনায়কের চরিত্রে।গোলপোস্টের নিচে আলো ছড়িয়েছেন স্পেন গোলরক্ষক উনাই সিমন। নির্ধারিত সময়ের খেলায় মরক্কানদের বিপক্ষে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছে তাকেও। সতীর্থরা দুই পেনাল্টি মিসের পর মরক্কোর একটি শট প্রতিহত করেন সিমন। তাতে ক্ষীণ হলেও সম্ভাবনা জাগে স্পেনের। কিন্তু বুসকেটসের মিসের পর শেষ হয়ে যায় সেই সম্ভাবনাটাও।