গোলাপগঞ্জে নাহিয়ান আহমদ (১৩) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক শাফি আহমদকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২১ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা সালেহ আহমদ চৌধুরী।
তিনি বলেন- মাদ্রাসার নিয়মবহির্ভূতভাবে ছাত্রকে প্রহার করার কারণে অভিযুক্ত শিক্ষক শাফি আহমদকে মাদ্রাসা থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যায় হিফজ বিভাগের ওই ছাত্র রুটিন মোতাবেক পড়া বলতে না পারার অজুহাতে বেত দিয়ে মারধর করে তাকে মারাত্মক জখম করেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক শাফি আহমদ। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। এ ঘটনার পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ছাত্রের কোনো অভিভাবককে অবগত না করে এবং কোনো প্রকার চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে ছাত্রকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মাদ্রাসায় আটকে রাখে। এরপর রাতে এশার নামাজের সময় ছাত্রটি সুযোগ বুঝে মাদ্রাসা থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে যায়। তারপরও অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়নি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বা ওই শিক্ষক। এরপর রাত ৯টার দিকে মাদ্রাসায় গিয়ে ছাত্রের এক অভিভাবক জানতে পারেন সে মাদ্রাসায় নেই। পরে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে গ্রামের একটি দোকানে আশ্রিত অবস্থায় পান। এসময় সে নির্যাতনের ঘটনাটি অভিভাবকদের খুলে বলে। এরপর তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। সবাই অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানান।