বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১১ অপরাহ্ন , ই-পেপার

দোয়ারাবাজারে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন লক্ষাধিক মানুষ সাত ফুট প্রস্তের ২০০ মিটার সেতুটিতে।

মাসুদ রানা সোহাগ,দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২

দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কালিউরি নদীর উপর ২০০ মিটার লম্বা এই সরু সেতুটি ১৮ বছর আগে নির্মিত হয়। অপরিকল্পিত ভাবে নির্মিত সেতুটি লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরু এই সেতু পারাপারে প্রতিদিনই পথচারী কিংবা যানবাহন চালকদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়।

দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর মাছ বাজারের পাশেই দোয়ারাবাজার টু শরীফপুর সেতুটি। এই সেতু পারাপার ছাড়া উপজেলার ভোগলা, মহব্বতপুর, লক্ষীপুর, বাংলাবাজার ইউনিয়নের একাংশ এবং সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের একাংশের মানুষের দোয়ারাবাজার উপজেলা সদর কিংবা সিলেটে যাতায়াতের আর কোন বিকল্প পথ নেই। সাত ফুট প্রস্তের এই সেতুতে একটি রিক্সা ওঠলে, আরেকটি সাইকেল ওঠতে পারে না।

সেতু পারাপার নিয়ে প্রতিদিনই কথা কাটাকাটি ঝগড়াঝাটি হয়। পায়ে হেঁটে কেউ সেতু পারাপার হতে একপাশ দিয়ে ওঠলে,আরেকপাশে যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বেশিরভাগ সময়েই ঝগড়া হয় দুই পাশে যানবাহন ওঠা নিয়ে, কে আগে ওঠেছে, কে নামবে, কোন বাহন আগে যাবে এ নিয়ে মধ্যস্ততা করা লাগছে অন্য পথচারীদের।

সুরমা ইউনিয়নের শরীফপুর স্থানীয় বাসিন্দা’রা বললেন, ‘সেতু নয় যেন আরেক ভোগান্তি,যেকোনো ধরনের চার চাকা’র কোনো পরিবহণ ওঠলে একজন মানুষ দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না আর আমরা এলাকাবাসি সবসময় বাজারে যাতায়াত করতে সুবিধা অসুবিধার জন্য দুটি রিক্সা চলাচলের ব্যবস্থা নেই। যানবাহন ওঠা-নামা নিয়ে প্রতিদিনই ঝগরাবিবাদ হয়। দিনে বহুবার দুপাশ দিয়ে যানবাহন ওঠে, পরে কে আগে ওঠলো, আগে- পেছনে ওঠা-নামা নিয়ে ঝামেলা হয়।

দোয়ারাবাজারের সুরমা নদীর পাড়ের শরীফপুর অংশে পায়ে হেঁটেই যাতায়াত করা যাচ্ছে না। শরীফপুর অংশের পাশে মাটি ভরাট করায় সড়ক মাটির নীচে গেছে। অপরাংশ এমনভাবে খানাখন্দ হয়েছে, দেখলে রীতিমত ভয় লাগে। এই পথে বৃষ্টি হলে মাঝেমধ্যে যাতায়াত করা হাজার হাজার মানুষকে দুই স্থানেই নেমে পায়ে হেটে যেতে হচ্ছে। পরে যানবাহন পরিবর্তন করে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়।

সড়কের কাজ হচ্ছে, কিন্তু কালিউরি’র সরু সেতু না হলে সীমান্তের লাখো মানুষের ভোগান্তি রয়েই যাবে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা এলজিইডির দায়িত্বশীলরা জানালেন, ২০০৪ সালে টেংরাটিলা গ্যাসফিল্ডে কানাডিয় কোম্পানী নাইকো গ্যাস উত্তোলনের কাজ শুরু করলে, তাদের দাবির প্রেক্ষিতে এই স্বল্পব্যায়ি সেতুটি করা হয়েছিল।

সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান এই পথে এমন সেতু উপযোগী নয় মন্তব্য করে জানালেন, এখানে নতুন সেতু করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যেহেতু সেতুটি একশ মিটারের উপরে লম্বা, হাইড্রোলজি-মরকোলজিসহ নানা বিষয় যাচাই করার বিষয় আছে, এজন্য বিলম্ব হচ্ছে। দোয়ারা-ভোগলা-লিয়াকতগঞ্জ সড়কের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেইটেন্সের আওতায় কাজ করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..