কক্সবাজারের চকরিয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী কতৃক দুই ভাইকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখমের ঘটনায় থানায় দেওয়া এজাহারে আসামি বেশির অজুহাতে মামলা নিচ্ছে না পুলিশ!
শুক্রবার রাতে কোনাখালী এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা স্থানীয় মৃত মোস্তাক আহমদের দুই পুত্র আলাউদ্দিন ও সালাহউদ্দিনকে দা ও কিরিচ দিয়ে শরিরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। আলাউদ্দিনের হাতে, পায়ে ও পিঠে ৩২টি কুপ এবং সালাহউদ্দিনের শরীরে ১৩টি কুপের আঘাত রয়েছে। বর্তমানে আলাউদ্দিন ঢাকা মেডিকেলে ও সালাহউদ্দিন চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
উক্ত ঘটনায় মোস্তাক আহমদের কন্যা জেসমিন আকতার বাদী হয়ে বিশজনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেন। রবিবার রাত বারোটা পর্যন্ত থানায় বসে থেকে মামলা রুজু করতে না পেরে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বাড়ি ফিরলেন সন্ত্রাসী হামলায় আহত আলাউদ্দিন ও সালাহউদ্দিনের বোন মামলার বাদী জেসমিন আকতার।
জেসমিন আকতার বলেন, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আবদুল জব্বার ও চকরিয়া সার্কেলের এএসপি তফিকুল আলম মামলা নেওয়ার আশ্বাসে রবিবার রাত বারোটা পর্যন্ত আমাকে থানায় বসিয়ে রাখেন। রাতেই মামলা রেকর্ড হবে জানিয়ে আমাকে বাড়ি চলে যেতে বললে আমি বাড়ি চলে যাই। পরে থানা থেকে আমার কাছে খবর দেয় সকালে থানায় আসতে। সোমবার সকালে চকরিয়া থানায় আসলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাতামুহুরী থানার ইনচার্জ মিজানুর রহমান আমার দেওয়া এজাহারের ১ ও ২ নং আসামি সহ ৫ জন আসামিকে বাদ দিলে থানায় মামলা হবে, নতুবা মামলা হবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
জেসমিন আকতার আরও বলেন, আসামিরা বিত্তশালী হওয়ায় পুলিশ তাদের পক্ষ নিয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকা আসামিদের মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাই বিভিন্ন অজুহাতে মামলা দায়েরে গড়িমসি করেছেন। থানায় মামলা না নিলে তিনি কোর্টে মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান।
আসামি বাদ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টির বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আবদুল জব্বার বলেন, বাদীর এজাহারে ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন না এমন কয়েকজনের নাম থাকায় তাদেরকে বাদ দেওয়ার জন্য চাপ নয়, অনুরোধ করা হয়েছিল। প্রকৃত আসামিদের নামে এজাহার দিলে থানায় মামলা হবে। অন্যথায় তাদের কোর্টে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন।