শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
ফয়জুল করীমকে বিসিসির মেয়র ঘোষণা করতে,বরিশাল আদালতে মামলা রাঙ্গাবালীতে দাখিল পরীক্ষায় অনিয়ম, ১৪ শিক্ষার্থী সাসপেন্ড, ৫ শিক্ষককে জরিমানা পহেলা মে থেকে সারা দেশে ডিম ও মুরগির খামার বন্ধ রাখার ঘোষণা নড়াইলে সৌদি প্রবাসী আকরাম শেখ হত্যাকাণ্ডের জের ২১ বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট মোহনগঞ্জে ইমামের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন রাঙ্গাবালীতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে মারা গেছেন হিরো আলমের বাবা, নিজবাড়িতে জানাজা ফেসবুকে পুরোনো ব্যানারে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’ দেখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান পণ্ড, ইউএনও লাঞ্ছিত গলাচিপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃ’ত্যু সিংড়ায় পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনে সর্বস্বান্ত মালেকের পরিবার

স্ত্রীর মামলায় বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে তালাকের চেষ্টা করা স্বামী কারাগারে

ইয়াসমিন জাহান, জবি সংবাদদাতা
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২০ মে, ২০২২

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় লিখন সাকসেনা নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে কারগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজধানীর লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ মোরশেদ আলী। তিনি বলেন, আজ ভোররাতে আসামি সাকসেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে তোলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

সাকসেনাসহ এ মামলায় আসামি চারজন। বাকি তিনজন হলেন- সাকসেনার বাবা হুমায়ূন কবীর, মা শিউলী শ্রাবণী ও ভাই হৃদয় সাকসেনা। গত ১৪ মে ঢাকার লালবাগ থানায় সাকসেনার স্ত্রী বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ)/৩০ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৪ জুন জবি শিক্ষার্থী লিখন সাকসেনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মামলার বাদী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে স্ত্রীর পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন সাকসেনা। যৌতুকের জন্য তার স্ত্রীকে মারধর করতে থাকেন। একসময় স্ত্রীর পরিবার দুই লাখ টাকা যৌতুকও দেন। পরবর্তীতে লিখন ৪০তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হলে তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করতে চান বলে অভিযোগ করা হয়। যৌতুকের টাকা আদায়ের জন্য নির্যাতনে সহযোগিতা করা হয়েছে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী সাকসেনার স্ত্রী বলেন, যৌতুকের টাকার জন্য লিখন বিভিন্ন সময়ে আমাকে চড়, থাপ্পড়সহ নানাভাবে মারধর করে আসছিল। আমাকে রেখে অন্য মেয়ে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু সংসার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আমি সবকিছু সহ্য করে দুই লাখ টাকা দিয়েছি। তবে এখন সে বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশ হওয়ার পর আমাকে আর চায় না। সে আমাকে তালাক দিয়ে অন্য কোন বড়লোক মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। আমি মীমাংসাতে গিয়েও পারিনি। তাই বাধ্য হয়ে মামলা করেছি। আমি এর বিচার চাই।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..