যশোরের
বেনাপোল পৌর বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ নাজিম উদ্দীন, শার্শা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক ইমদা ও বেনাপোল পৌর যুবদলের সদস্য সচিব রায়হানুজ্জামান দিপুকে লোহার রড ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করেছে সন্ত্রাসী’রা।
২ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে এই নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানান ইমদা সহ পরিবারের সদস্য’রা। শুক্রবার (৬ মে) রাত ৮ টার দিকে বেনাপোল বলফিল্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইমদাদুল হক ইমদাদ (৩৮) বেনাপোল ভবারবেড় গ্রামের
মৃত: মারফাত আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় রাতেই ইমদাদুল হক ইমদার বড় ভাই জিয়াউর রহমান জিয়া বেনাপোল পোর্ট থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বেনাপোল পোর্ট থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শার্শা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক ইমদা রাতে বেনাপোল বলফিল্ড সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলো।
এসময় সুমন, সুজন, রাব্বি, অরেঞ্জ, ফজা ও দিপু এসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা আচমকা ইমদাকে লোহার রড ও বাঁশ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।
এক পর্যায়ে ইমদা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসী’রা তাদের উপর হামলা চালায় এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।
খবর শুনে পরিবারের লোকজন ইমদাদুল হক ইমদাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে রাতেই ওই সমস্ত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের দাবিতে বেনাপোল পোর্ট থানায় উল্লেখিত ৬ জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত ইমদাদুল হক ইমদাদ বলেন, যারা আমাকে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করেছে তারা সবাই ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। তাদের সাথে আমার পূর্বে কোন শত্রুতা না থাকলেও তারা আমাকে মারার জন্য পূর্বপরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, এ সংক্রান্ত থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি আমরা দেখছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।