সাতক্ষীরা
দেবহাটার গাজীরহাটে চিংড়িমাছে অপদ্রব্য পুশ করার সময় হাতে-নাতে আটক দু’মাছ ব্যবসায়ীকে দু’মাস করে জেল দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৩মাছ ব্যবসায়ীকে ১লাখ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার বিকেলে র্যাব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে এসাঁজা ও জরিমানা করা হয়।
সাঁজাপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা হলেন,দেবহাটা উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ও একই গ্রামের বাবলু গাজী। আর ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয় উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের অহিদুল ইসলাম ও নলতা গ্রামের মনিরুল ইসলামকে। ৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয় নওয়াপাড়া গ্রামের সোলাইমান হোসেনকে। তারা সবাই গাজীরহাট মাছের আড়তের ব্যবসায়ী।
সাতক্ষীরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান জানান,গাজীরহাট মৎস্য শেড ও চিংড়ি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানে রপ্তানীযোগ্য চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করা হচ্ছে,এমন সংবাদে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এসময় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও আড়ত থেকে ২৫ কেজি অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা মাছ জব্দ করা হয়। আটক করা হয় ৫ ব্যবসায়ীকে। পরে তাদেরকে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। অপরাধ বিবেচনায ৫ ব্যবসায়ীকে কারাদ- ও অর্থ জরিমানা করা হয়। আর জব্দকৃত মাছগুলো বিনষ্ট করা হয়।
র্যাব,সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কমান্ডার স্ক্রোয়াড্রন লিডার ইশতিয়াক আহমেদ জানান,সাতক্ষীরার প্রধান অর্থকরী চাষ বাগদা। যা বিদেশে রপ্তানী করা হয়। সাতক্ষীরার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় স্ইু ও সিরিঞ্জের মাধ্যমে বাগদায় জেলি ও উলটকম্বল নামক গাছের পি্িচছল রসসহ বিভিন্ন ধরণের অপদ্রব্য পুশ করে ওজন বৃদ্ধি করে বিদেশি ও দেশি ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। বুধবার তাদেরকে হাতে-নাতে ধরে সাঁজা দেওয়া হয়েছে। আগামীতে র্যাবের নজরদারী থাকবে ব্যবসায়ী ও চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণকারীদের ওপর।