বরিশাল লঞ্চে ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ হয়ে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ও দগ্ধ হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক মানুষ। তাদের বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল ও ঝালকাঠির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত যেভাবে
ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে সুগন্ধা নদীর দিয়াকুলে গতরাত তিনটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চের ইঞ্জিনের পাশের রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা ফায়ার সার্ভিসের। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০। লঞ্চটি রাত তিনটার দিকে ঝালকাঠি টার্মিনালের কাছাকাছি পৌঁছালে ইঞ্জিনরুমে আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে।
জীবন বাঁচাতে এ সময় অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন। হতাহত হন অনেকে। লঞ্চে থাকা অনেকেই ঘটনার বর্ণনা দেন। আগুনের ঘটনা স্মরণ করে আঁতকে ওঠেন অনেকে।
প্রায় তিনঘণ্টা ধরে আগুন জ্বলে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানায়, ইঞ্জিনরুমের পাশেই রান্নাঘর। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
তিনঘণ্টার আগুনে পুড়ে যায় পুরো লঞ্চ। লঞ্চের যেদিকে তাকানো যায় চারিদিকে শুধু ধ্বংসস্তূপ।
বিআইডব্লিউটিএ জানায়, লঞ্চে তিনশ’ যাত্রী ছিলেন। যাদের মধ্যে শতাধিক দগ্ধ ও আহত হয়েছেন। আর এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
আগুন লাগার পরপরই লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়ায় অনেকে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে।