নড়াইলে সন্ত্রাসী সুমন বাহীনির অত্যাচারে অতিষ্ট জয়পুর বাসি,সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার সোহাগ,আদালতে মামলা দায়ের।নড়াইলে সুমন শেখের সন্ত্রাসীবাহীনির অত্যাচারে অতিষ্ট লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর এলাকাবাসী,নড়াইল জেলা পুলিশ ও নড়াইল জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন অসহায় পরিবার।ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারের হামলার শিকার সোহাগ এ প্রতিবেদককে অভিযোগ করে জানান,নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর গ্রামের গফরান শেখের ছেলে সুমন শেখ,এলাকার এক আতংকের নাম।একের পর এক অপরাধ করলেও অজ্ঞাত কারণে রয়েছে প্রশাসনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সন্ত্রাসী সুমনে পিতা স্থানীয় স্লুইচ গেট জামরুল তলা এলাকার চা এর দোকানদার।তবে সুমন পরিচিত ইয়াবা,গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে তবে সুমন নিজেও মাদকাসক্ত।সম্প্রতি সুমন শেখ আলোচনায় আসে একই গ্রামের বাসিন্দা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সংস্কৃতিকর্মী আমার উপরে হামলা করে তথা সোহাগের উপর সশস্ত্র আক্রমণ হামলা করে।সোহাগ আরো জানান,গত (১৬সেপ্টেম্বর) ২০২১ সকালে আমাদের বাড়ীর পেছনে সীমানার মধ্যে সুমন ও তার ভাতিজা আরমানসহ কিছু নেশাখোর বখাটেদের নিয়ে মাদক সেবন করে এবং তাশ জুয়া খেলতে থাকে,মাদক সেবন করতে নিষেধ করলে আমার ছোট ভাই আসিফের সাথে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি হয় এবং সুমন ও আরমান আমার পিতা কামাল হোসেনের উপরও চড়াও হয় এসময় আমার পিতা লোহাগড়া থানায় ফোন করলে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকেই থানায় ডাকে,থানায় যাওয়ার পথে সুমন ও আরমান তাদের পরিবারের আরও দুই সদস্য গফরান এবং সোহেলকে নিয়ে আমার উপর দেশি অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে এবং পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গফরান ও সোহেলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়,পরে আমরা লোহাগড়া থানায় মামলা করলেও অজ্ঞাত কারণে আমার দায়ের করা মামলা গ্রহণ করেন না,লোহাগড়া থানা পুলিশ।স্থানীয় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ঘটনায় সুমন শেখকে পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না,কিন্তু হামেসায় তাকে এলাকাতেই ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় প্রতিনিয়তই।
গত (১৯ সেপ্টেম্বর) ২০২১ নড়াইল জজ কোর্টে বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন,সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে (সোহাগ) মামলার আসামি”রা হলেন,১/ সুমন শেখ (২৬),২/ সোহেল শেখ (৪২) উভয় পিতা গফরান শেখ,৩/ গফরান শেখ (৬০), পতা,ছলেমান শেখ,৪/ আরমান শেখ (২০),পিতা সোহেল শেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামী করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন।আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান,নির্যাতীত সোহাগ।ঘটনাস্থল থেকে আটক হামলাকারী গফরান ও সোহেল আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এসে সন্ত্রাসীবাহীনি আরও বেপরোয়া আচরণ করা সুরু করেছে। সন্ত্রাসীদের হুমকিতে সোহাগের পরিবার চরম আতংকে দিনাতিপাত করছে।এলাকার জন্য আতংক সুমন শেখের অপতৎপরতা থেকে এলাকাবাসী পরিত্রাণ চায়।নড়াইল জেলা পুলিশ ও নড়াইল জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন এবং নির্যাতীতা পরিবার সব সময় সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।