বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫১ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
সা’দত কলেজে আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর বিজয়ী হলেন সমাজকর্ম বিভাগ মোহনগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার লোহাগড়ায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত ৫ দফা দাবিতে ঢাকায় জামায়াতের বিক্ষোভ ও মিছিল দুর্গাপূজার অনুদান ১ কোটি বাড়িয়ে ৫ কোটি টাকা করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নরসিংদীতে রিক’র উদ্যোগে প্রবীণদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান লোহাগড়ায় অন্ধ ও অসহায় বিধব বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ালেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ ১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন গাজীপুরের কালীগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেফতার পুলিশের সাবেক ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম গ্রেপ্তার

২৮ বছর পর আদালতের রায়ে ওয়ারিশের এক একর ৭৪ শতক জায়গা উচ্ছেদ অভিযান

মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোহনগঞ্জ,নেত্রকোণা:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

আদালতের রায়ে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ পৌর শহরের ওয়ারিশের ১ একর ৭৪ শতক জমি উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে।

আদালতের রায়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ওই জমিতে থাকা একটি পাকা ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত জমির বর্তমান বাজার মূল্য ৫ কোটি টাকার বেশি বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পৌর শহরের দৌলতপুর এলাকায় দাদীর ওয়ারিশের ১ একর ৭৪ শতক জায়গার দাবিতে ২৮ বছর আগে আদালতে মামলা করেন স্থানীয় আব্দুল ছাত্তার ও তার ভাই মরম আলী। মামলা চলাকালে গত ৭-৮ বছর আগে মারা যান মরম আলী। প্রায় ৬ বছর আগে মারা যান আব্দুল ছাত্তার। তবে তাদের ছেলেরা শহীদ মিয়াগং মামলা চালিয়ে যান। গত কয়েক বছরে ওই সম্পত্তির পক্ষে ৩ দফা ডিক্রি পান তারা।

সম্প্রতি আদালতের চূড়ান্ত রায় পান আব্দুল ছাত্তার ও মরম আলীর সন্তানেরা। বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে জায়গা মেপে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেন আদালত। পরে সোমবার আইন কমিশনারের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্টরা ওই জায়গার দখল বুঝিয়ে দিতে আসেন। এসময় সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ার, পুলিশ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা ও সাংবাদিকগণরা উপস্থিত ছিলেন। মামলা চলাকালে বিবাদী পক্ষ কিছু জমি কৌশলে খারিজ করে অন্যজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই জায়গায় স্থাপনা তোলায় সেগুলো আজকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

বাদী মৃত মরম আলীর ছেলে শহীদ মিয়া বলেন, আমার দাদীর ওয়ারিশের সম্পত্তি ওই পক্ষের লোকজন দিচ্ছিল না। আমার বাবা-চাচা মিলে ওই জমির দাবিতে মামলা করেন। মামলা চলাকালে আমার বাবা-চাচা মারা যান। আদালত সম্প্রতি জায়গা মেপে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার রায় দিয়েছেন। তাই আজকে এই কার্যক্রম চলছে। অপর বাদী মৃত আব্দুল ছাত্তারের ছেলে মো. রবি মিয়া বলেন, স্থানীয় কেদু বেপারী ও গেদু বেপারীর কাছে আমার বাবার দাদীর ওয়ারিশ পাওনা ছিল। তারা ওয়ারিশ না দেওয়ায় বাবা-চাচা মিলে ওই মামলা করেন। যদিও মামলা চলাকালে বাদী-বিবাদী সকলেই মারা গেছেন। উভয় পক্ষের সন্তানেরা মামলা চালিয়ে গেছে দীর্ঘদিন। অবশেষে আমরা রায় পেলাম। তাই আজকে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নেত্রকোণা জেলার আইন কমিশনার সংশ্লিষ্ট লোকজন নিয়ে জায়গাটি মেপে বুঝিয়ে দিচ্ছেন।

ওয়ারিশদার শহীদ মিয়া, নয়ন মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা এই জায়গার ওয়ারিশদার। দীর্ঘ বছর ধরে মামলার পর আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। তাই আজকে জায়গাটি দখলমুক্ত করে মেপে বুঝিয়ে দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা জেলার আইন কমিশনার তরুণ কমল বিশ্বাস বলেন, আদালতের নির্দেশেই জায়গা মেপে প্রকৃত মালিকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওই জায়গায় কোন স্থাপনা থাকলে সেটা অপসারণের নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। তাই ওই জায়গায় থাকা স্থাপনা অপসারণ করা হচ্ছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..