বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:২৯ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
ধর্মপাশা ও নেত্রকোনায় ৩৮টি শাখা কেন্দ্রে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। চুরির দায়ে এমপি-মন্ত্রীদের হাত কর্তন করলে পুরো বাংলাদেশ চোরমুক্ত হবে”- সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম রায়পুরে ডেভিড হান্ড অপারেশনে গ্রেফতার তিন। মোহনগঞ্জে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার সিইউএফ স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত। নোয়াখালীতে  অপারেশন ডেভিল হান্টে চেয়ারম্যানসহ  আটক ৭ মোহনগঞ্জে ওরশ-যাত্রাপালার নামে মদ-গাঁজার আসর বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ সাবেক ডিআইজিসহ পুলিশের ৪ কর্মকর্তা আটক গাজীপুরের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)   বরখাস্ত হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর দুই বাড়ি ও ১১নৌযানে আ’গুন

বিজয় রাকিন সিটির দুর্নীতির প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির মানববন্ধন

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫

বিজয় রাকিন সিটির দুর্নীতির প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির মানববন্ধন

মুক্তিযোদ্ধাদের ১৬ একর জমি রক্ষার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতি। একইসঙ্গে জাতীয় গৃহায়নে জমা দেওয়া ৩০০ জনের তালিকা যাচাই-বাছাই করে পুনর্বাসন করার দাবিও জানিয়েছেন তারা।

সোমবার ২০জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেমুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতি মানববন্ধনেএসব দাবি জানান সমিতির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. বেলায়েত হোসেন।

তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতি সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নেয়। ওই সমিতির কথিত মহাসচিব মোর্শেদুল আলম জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে একটি দরখাস্ত করেন মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসনের জন্য। ওই দরখাস্তের আলোকে জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সমিতির কাছে জানতে চেয়ে একটি পত্র দেয়। তাতে বলা হয়, আপনার সমিতির মধ্যে কতজন মুক্তিযোদ্ধা ও কী পরিমাণ জমির প্রয়োজন? একটি হলফনামাসহ ৫০ টাকার স্ট্যাম্পে জমা দিতে আদেশ করেন। এরপর ১৯৯৯ সালের ২৩ নভেম্বর ৩০০ জন মুক্তিযোদ্ধার নামে তালিকার হলফনামাসহ জাতীয় গৃহায়ন কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়।৩০০ জন মুক্তিযোদ্ধার নামে তালিকা জমা হওয়ার পর জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ১৬.৩১ একর জমি বরাদ্দ দেয়। কিন্তু বরাদ্দপত্র সমিতির নামে না দিয়ে সমিতির মহাসচিব মোর্শেদুল আলম নামে বরাদ্দ হয়। এতে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু সমিতির মহাসচিব আমাদের বিভিন্ন হুমকি, ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। ওই বরাদ্দপত্র নিয়ে সমিতির মধ্যে গোলযোগ দেখা দিলে পুনরায় বরাদ্দপত্র সমিতির নামে সংশোধন হয়।কিন্তু স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ শাসনামলে স্বৈরাচারের মন্ত্রী শেখ সেলিম, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আ ক ম মোজাম্মেল হক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক পিএসসির চেয়ারম্যান এটি আহমাদুল হক চৌধুরী, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও নুর মোহাম্মদ, সাবেক সচিব মিজানুর রহমান, মাহবুবুল আলম খান, হেদায়েতুল ইসলাম, আবু আলম শহিদ খান এবং অমুক্তিযোদ্ধা মোর্শেদুল আলম গং সম্মিলিতভাবে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির ১৫ডি/১/২ প্রাতিষ্ঠানিক প্লটে (যা বর্তমান বিজয় রাকিন সিটি নামে পরিচিত) কাফরুল মিরপুরের অধীনে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে ১৬ একর জমির ওপরে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করেছে। সেসব ভবনের ফ্ল্যাট অমুক্তিযোদ্ধাদের কাছে বিক্রি করে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

তিনি আরো বলেন,ফ্যাসিষ্ট-খুনি হাসিনার বিশ্বস্ত সহচর, জুলাই মুভমেন্টে মিরপুরে ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণকারী, বিজয় রাকিন সিটিকে অবৈধভাবে আওয়ামী পল্লী বানানোর মাস্টারমাইন্ড খুনি মোর্শেদুল আলম, সন্ত্রাসী আবদুল্লাহ আল মামুন লাভলু, রায়হান উদ্দিন আহাম্মেদ, এটিএম আহমেদুল হক চৌধুরী, আলী ইমাম চৌধুরী, মোঃ আজহারুল হক, এটিএম খালেদুজ্জামান, শাহজাহান, ইব্রাহীম ফাতেমী, আব্দুল হামিদ, কিশোরসহ বিজয় রাকিন সিটিতে যারা অবৈধ ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছে খুনি মোর্শেদ গংয়ের সেই সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে, বিজয় রাকিন সিটিতে অবস্থানকারী জুলাই হত্যাকান্ডে জড়িত কতিপয় এজাহারভূক্ত আসামী এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় গ্রেফতার না হয়ে প্রকাশ ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সরকার বিরোধী কাজে লিপ্ত রয়েছে। এজাহারভুক্ত এসব চিহ্নিতদের গ্রেফতারের দাবী জানাই।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির সদস্য আব্দুর সাত্তার, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..