মোহনগঞ্জ, ১৬ বছর ধরে নিজ উদ্যোগে মেধাবীদের শিক্ষা বৃত্তি দিয়ে যাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম।
এ লকঁসে নিজের বাবা মকসুদ আলীর নামে `মকসুদ আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট` প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। সেই মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে ১৬ বছর ধরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম কাম-মাল্টিপারপাস হলরুমে ৩৩ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়। এসময় দুইজন লেখক ও সাংবাদিককে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে গুণীজন সম্মাননা দেওয়া হয়।
আবুল কালাম মোহনগঞ্জ উপজেলার পেরিরচর গ্রামের বাসিন্দা।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মকসুদ আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের আবুল কালাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আছহাব উদ্দিন খোকন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আবুল হোসেন ও কবি সাহিত্যিক রইস মনরম। এছাড়া সাংবাদিক এস এম সারোয়ার খোকন, উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল জিয়া, শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বুলবুল, শিক্ষক শাজাহান আলম খান বিপ্লব প্রমূখ বক্তব্য দেন।
আলোচনা সভা শেষে মুকসুদ আলী ট্রাস্টের পক্ষ থেকে স্থানীয় ৩৩টি বিদ্যালয়ের মেধাবী ৩৩ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও সনদ দেওয়া হয়।
এসময় লেখক ও সাংবাদিক অধ্যাপক নরোত্তম রায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি আকন্দকে গুণীজন পদক দেওয়া হয়।
বক্তারা এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, আবুল কালাম কোনো ধনী ব্যক্তি নয়। তবু নিজ উদ্যোগে ১৬ বছর ধরে মেধাবীদের বৃত্তি দিয়ে যাচ্ছেন। এটা অনেক বড় মনের পরিচয়। টাকা থাকলেই সবাই এমন উদ্যোগ নিতে পারে না। এর জন্য মহৎ ইচ্ছার দরকার হয়। শিক্ষক আবুল কালামের এই উদ্যোগ দেখে সমাজের আরও অনেকে মেধাবীদের উৎসাহ দিতে এগিয়ে আসবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
তারা আরও বলেন, গুণীর কদর করতে না জানলে সমাজে গুণী মানুষ জন্মায় না। এই ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রতিবছর গুনীজনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এতে মহৎ কাজ করার প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।