চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে সারবহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাতজন খুনের ঘটনায় পলাতক আকাশ মন্ডল ওরফে ইরফানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাবের ভাষ্যে, ইরফান জাহাজে সাত খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস আজ বুধবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজই এই বিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।
এদিকে, জাহাজে খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুরের হাইমচর থানায় মামলা করা হয়েছে। জাহাজের মালিক মাহাবুব মুর্শেদ অজ্ঞাতদের আসামি করে মঙ্গলবার রাতে মামলাটি করেন।
খুনের শিকার ব্যক্তিরা হলেন মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার মো. সজিবুল ইসলাম, লস্কর মো. মাজেদুল ইসলাম, সালাউদ্দিন, আমিনুর মুন্সী ও বাবুর্চি রানা কাজী। এ ছাড়া আহত হয়েছেন সুকানী মো. জুয়েল (২৮)। তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সেকান্দর প্রকাশ সেকেন্ড খালাসীর ছেলে।
মামলার বাদী মাহবুব মুর্শেদ এজাহারে উল্লেখ করেন, জুয়েলের গলাকাটা থাকায় সে কথা বলতে পারেনি। ঘটনার বিবরণ দিতে পারেনি। সে সুস্থ হলে ডাকাতদল দেখলে চিনবে বলে ইশারায় জানায়। তবে জুয়েলের সাথে ইরফান নামে আরেকজন ছিল বলে সে লিখে জানায়। তবে তার ঠিকানা দিতে পারেনি।
সোমবার দুপুরে মেঘনা নদীতে মালবাহী জাহাজ এমভি আল বাখেরা থেকে পাঁচজনের মরদেহ এবং তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে ২ জন মারা যান।