বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
লোহাগড়ায় বিধবা নারীকে ধর্ষণ, মামলা দায়ের মাধবপুরে ৯ বছরের শিশুকে কু’পিয়ে হ’ত্যা লোহাগড়ায় ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার গলাচিপার চরকাজল বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জেরা প্রশাসন: আজ ত্রাণ বিতরণ শেখ হাসিনাসহ ১২ জনকে আদালতে হাজিরে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ লোহাগড়ায় গরীব বর্গাচাষীর স্বপ্ন ভেঙে দিল দূর্বৃত্তরা নড়াইলে মোটরসাইকেল ও ট্রলির সংঘর্ষে প্রাণ গেল যুবকের লোহাগড়ায় গান শোনার জন্য মোবাইল ফোন না দেওয়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা মধ্যনগরে চোরাপথে ভারতীয় পণ্যের ঢল: সরকারের শুল্ক হারাচ্ছে,কোটি কোটি টাকা। ড.ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক। অনুষ্ঠানে বিশাল শোডাউন :নাসির আহমেদ শাহীন এর নেতৃত্বে

যুবককে কুপিয়ে জখম,ভয়ে এলাকা ছাড়া পরিবার

মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোহনগঞ্জ,নেত্রকোণা:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে মাদকের প্রতিবাদ করায় এক যুবককে কুপিয়ে জখমের পর বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে মাদক কারবারিরা।
এতে রামদার কোপে ওই যুবকের হাত কেটে গুরুতর জখম হয়েছে। পাশাপাশি বাসায় হামলা চালিয়ে দরজার ভেঙে ভেতরে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ফ্রিজসহ নানা আসবাবপত্র নিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনায় পৌরশহরের মাইলোড়া এলাকার বাসিন্দা মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সুলতান মিয়া তালুকদার বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর মধ্যরাতে পৌরশহরের মাইলোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, মাইলোড়া এলাকার মো. মোস্তাক মিয়া (৫৫) লিমন মিয়া (৩০) ও দেওথান এলাকার রুমান মিয়া (৩১)।
ভুক্তভোগীরা হলেন, মাইলোড়া এলাকার মো. সুলতান মিয়া তালুকদার, তার ছেলে ইমরান মিয়া ও মিল্টন মিয়া।
ভুক্তভোগী সুলতান মিয়া অভিযোগে জানান, প্রতিবেশী মোস্তাক মিয়ার বাসায় ভাড়ায় বসবাস করছিলেন লিমন মিয়া। খবর নিয়ে জানতে পারি লিমন বাসায় মাদক কারবারি। এছাড়া সে সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। এসব কারণে লিমনকে তার এলাকা থেকে লোকজন তাড়িয়ে দিয়েছে। এই কথাই মোস্তাকে জানাই। বিষয়টি জানতে পেরে লিমন ও তার সঙ্গীরা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। গত ২৭ নভেম্বর মধ্যরাতে প্রথমে মোস্তাকের বাসায় ঝামেলা শুরু করে লিমন, রুমানসহ অন্যরা। চিৎকার শুনে এগিয়ে যায় আমার ছেলে মিল্টন। তখনি রামদা নিয়ে মিল্টনকে তাড়া করে কুপিয়ে জখম করে। মিল্টনকে টেনে বাসার ভেতর ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলে তারা বাসায় হামলা চালায়। এক পর্যায়ে দরজার ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরিবারের আমরা পুরুষ সদস্যরা রান্না ঘরের পেছনের টিন খুলে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করি। নারীরা ঘরের ভেতর খাটের নিচে ঢুকে যায়।
অভিযোগে তিনি আরও জানান, পরে তারা ঘরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পাশাপাশি ঘরে থাকা মাছের আড়তের ব্যবসার ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ঘরের ফ্রিজ, গ্যাসের চুলাসহ নানা আসবাবপত্র নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমাদের হত্যার হুমকি দিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী সুলতান মিয়া বলেন, হামলাকারীরা ভয়ংকর প্রকৃতির মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। তাদের ভয়ে বাসা ফেলে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছি। শহরে আসতে পারছি না। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু মামলাও হচ্ছে না। খুব বিপদে আছি।
অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..