বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সাতক্ষীরা কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা। চবিতে চলছে হল সিলগালা। নড়াইলে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু  নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৭   সিংড়ায় মাসব্যাপী চলনবিল বৃক্ষরোপণ উৎসবে বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ পুরাতন সাতক্ষীরায় জমিজমা বিরোধে ৪জনকে পিটিয়ে আহত কোটা সংস্কারের দাবিতে বঙ্গভবনের স্মারকলিপি দিলেন শিক্ষার্থীরা যারা না জেনে সমালোচনা করেন, তারা মানসিক রোগী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু গৃহকর্মীকে  নির্যাতনের ঘটনায় দম্পতি গ্রেফতার। সাভারে চুরির অপবাদ দিয়ে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক দুই

চট্টগ্রামে হাসপাতালে এক সপ্তাহে রোগী বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১

আজ মঙ্গলবার ১৫৮ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল ১৭ শতাংশ। আগের দিন সোমবার ২২৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্ত হার ছিল প্রায় ২৫ শতাংশ। বিশেষ করে শহরের পাশাপাশি উপজেলাগুলোতেও রোগী শনাক্ত বেড়ে যাচ্ছে।

উপজেলায় আক্রান্ত হলেও চিকিৎসার জন্য তাঁরা শহরের হাসপাতালে ভিড় করছেন।
কোভিড বিশেষায়িত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক মো. আবদুর রব প্রথম আলোকে বলেন, এক সপ্তাহ ধরে রোগী বেড়ে গেছে। কিছু রোগী খারাপ হচ্ছে দ্রুত। দেরিতে হাসপাতালে আসা এবং যাদের আগে থেকে অন্যান্য জটিল রোগ রয়েছে, তাদের অবস্থা খারাপ হয়। আইসিইউর শয্যা প্রায়ই ভর্তি থাকে। রোগীদের মধ্যে ভারতীয় ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুটি ধরন ধরা পড়েছে।

জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবার রোগী ভর্তি ছিল ৪৫ জন। এর মধ্যে নতুন করে ভর্তি হয় ৯ জন। এর বাইরে আইসিইউতে রোগী ছিল ১৫ জন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মঙ্গলবার রোগী ছিল ১৪২ জন। আইসিইউতে ছিল ৫ জন। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে রোগী কিছুটা বাড়ছে। তবে এখনো আমাদের শয্যা খালি রয়েছে।’

ফৌজদারহাট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইনফেকশার্স ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৩২ শয্যার বিপরীতে রোগী ছিল ২১ জন। হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, গত মাসের প্রথম ১৫ দিনের চেয়ে চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ। তিনি বলেন, কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।

মাস্ক হচ্ছে প্রধান টিকা। কিন্তু লোকজন মাস্ক ছাড়াই ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। সামাজিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। তাই করোনা বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় সচেতনতার বিকল্প নেই।

বিষয়টি স্বীকার করে সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি প্রথম আলোকে বলেন, ‘উত্তর চট্টগ্রামের দিকে রোগী শনাক্ত বেশি হচ্ছে। তাই শনাক্ত হারও বেড়েছে। এ জন্য আমরা নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ৫৫ হাজার ১৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন মোট ৬৪৫ জন।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..