রামপালে সাব কন্ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে নির্মাণ শ্রমিককে তিনতলা ভবনের ছাঁদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত শ্রমিক বাদশা সরদার (৩৮) কে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে আহতের ছোট ভাই ওবায়দুল সরদার।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, মোংলা উপজেলার মাদুরপাল্টা গ্রামের মৃত ওমর আলী সরদারের ছেলে বাদশা সরদার রামপালের তেলীখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনে শ্রমিকের কাজ করে আসছিল। গত ইংরেজি ৪ ডিসেম্বর সোমবার বেলা ২ টার সময় ওই ভবনের তিনতলার ছাঁদে কাজ করছিল। এমন সময় রামপাল উপজেলার তেলীখালী গ্রামের পলাশ ফকিরের সাথে বাদশার কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাব কন্ট্রাক্টর পলাশ ফকির শ্রমিক বাদশাকে ধ্বাক্কা দিয়ে নির্মাণাধীন ভবনের ছাঁদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানানীয়রা বাদশাকে রামপাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির চেষ্টা করে। কিন্তু চতুর পলাশ পুলিশের হয়রানি এড়াতে বাদশা কে উপজেলার ফয়লাহাট সুন্দরবন ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করে। রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে জানান, ক্লিনিকে ভালো চিকিৎসার কথা বলে তাকে সেখানে রেখে পালিয়ে যায় পলাশ। আহত বাদশার মেরুদণ্ড ও হাটুর উপরের হাড় ভেঙ্গে যায়। শ্রমিক বাদশা হতদরিদ্র হওয়ায় বর্তমান সে অনেকটা বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে। টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসাও করাতে পারছে না। নিরুপায় হয়ে প্রতিকার চেয়ে আহতের স্বজনরা রামপাল থানায় রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত পলাশ ফকিরের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে রামপাল থানার নবাগত ওসি সোমেন দাশ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, রবিবার রাতে রামপাল থানায় যোগদান করেছি। খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..