ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিং কান্ডে পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে সহপাঠীরা। মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) বিকাল চারটায় প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
এতে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো আটকা পড়ে। দুই ঘণ্টা পর আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করার আল্টিমেটাম দিয়ে তাঁরা আন্দোলন স্থগিত করে।
আন্দোলনকারীরা জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থী তাহমিন ওসমানকে র্যাগিং ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার একপাক্ষিক কথা শুনে আমাদের সহপাঠীদের বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বহিষ্কার আদেশ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। ওখানে র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেনি এই মর্মে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর দিয়েছে সেটা তদন্ত কমিটি আমলে নেয়নি। প্রহসনের বিচার মানিনা আমরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহপাঠী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছোটখাটো বিষয়ে স্থায়ী বহিষ্কারের মত একটি বড় সিদ্ধান্ত দিয়েছে। ছোটখাটো বিষয়ে স্থায়ী বহিষ্কার অন্তত মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমরা আন্দোলনে নেমেছি।
এর আগে আজ মঙ্গলবার দুপুরে র্যাগিং কান্ডে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থী এবং চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাংচুর ঘটনায় আইন বিভাগের আরেকজন তথা মোট ছয়জনকে বহিষ্কার করে প্রশাসন। এরমাঝে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের হিশাম নাজির শুভ ও মিজানুর রহমান ইমনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। এছাড়াও অভিযুক্ত শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিবকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। চিকিৎসা কেন্দ্র ভাংচুর করেছিলেন আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রেদোয়ান সিদ্দিকী কাব্য।
এ বিষয়ে ছাত্র শৃঙ্খলার সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, তদন্ত কমিটি র্যাগিং কান্ডের সত্যতা পাওয়ার পর ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনায় বসে ওদের কেনো বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিবে। তার পর আবার ছাত্র শৃঙ্খলা সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..