উত্তরার দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়িতে ছিলেন নবদম্পতি ও তাদের কয়েকজন আত্মীয়স্বজন। নবদম্পতির বউ ভাতের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে ফিরছিলেন তারা। কিন্তু একসাথে কাটানো আনন্দময় সময় হঠাৎই রূপ নিলো স্বজন হারানোর বিষাদে। স্বজনদের আহাজারিতে এখন ভারী হয়ে আছে উত্তরার জসীমউদ্দিন অ্যাভিনিউ।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে প্রাইভেটকারে থাকা ৪ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন দুইজন। আহত হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) হচ্ছেন নবদম্পতি। তারা বসেছিলেন প্রাইভেটকারের পেছনের সিটে।
দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মো. মহসিন। নিহতরা হলেন রুবেল (৫০), ঝর্ণা (২৮), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। জান্নাত ও জাকারিয়ার মা হচ্ছেন নিহত ঝর্ণা।
জানা গেছে, শরিয়তপুর সদরের ঢালী বাজার এলাকার বাসিন্দা ও আহত রিয়ার বাবা মো. রুবেল (বর্তমান ঠিকানা- কাওলা) গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। গত শনিবার হৃদয়-রিয়ামনির বিয়ে হয়েছে। আজ কাওলায় হৃদয়দের বাড়িতে ছিল বউভাতের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষে নিজেই গাড়ি চালিয়ে তাদের আশুলিয়ার খেজুরবাগানে রিয়াদের বাসা পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুর্ঘটনা ঘটে। আহত হৃদয় ও রিয়ামনি এখন ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
আহতদের উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজে যোগ দিতে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিস। সেখানে আছে পুলিশ ও র্যাব।
উত্তরার জসিম উদ্দিন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল করে। উড়াল সড়কের একটি গার্ডার ক্রেনে স্থানান্তর করার সময় চলতে থাকা প্রাইভেটকারের ওপরে পড়ে যায়। প্রকাণ্ড ওই গার্ডারের চাপে থেতলে যায় ঢাকা মেট্রো গ-১১৬০০৮ নম্বরের প্রাইভেট কারটি। গাড়ির ভেতরে যারা ছিলেন তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় টেনে বের করে স্থানীয়রা। এর আগেও এই প্রকল্পের নির্মাণ সামগ্রী ও গার্ডার পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল।