লালমনিরহাটে বেত্রাঘাত করার পর থেকে নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্র মোঃ আদনান সাহিল(১২)এর সন্ধান মিলেনি সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে আদনান নিখোঁজ হয়।আদনানের সন্ধানে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
নিখোঁজ আদনান সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নে অবস্থিত তিস্তা আল জামিয়া ইসলামিয়া মডেল হেফজুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।সে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেতনা গ্রামের আবদুল হালিমের দ্বিতীয় পুত্র।
নিখোঁজের ঘটনায় আদনানের বাবা আবদুল হালিম গত রোববার লালমনিরহাট সদর থানায় এব্যপারে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আদনানের বাবা জানান,নিখোঁজের পর শনিবার সন্ধ্যার দিকে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে মুঠোফোনে তাকে বিষয়টি জানানো হয়।আদনানের বাবার ধারণা, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আদনানকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হয়তো কোথাও লুকিয়ে রেখেছে। মাদ্রাসার শিক্ষকের মাধ্যমে আদনানের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে এমন আশংকার কথাও জানান তিনি।
মাদ্রাসা সুপার মোঃ মজিবর রহমান মঙ্গলবার বিকেলে মুঠোফোনে জানান, নিখোঁজ আদনানকে আমরাও খুঁজছি, কোথাও এখনো তার সন্ঝান মিলেনি। গত বুধবার রাতে আদনানের কাছে মুঠোফোন থাকা নিয়ে শাসনের একপর্যায়ে একজন নতুন শিক্ষক তাকে কয়েকটি বেত মারেন। এতে সে ভয় পেয়ে যায়। এরপর শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না আমরা বিষয়টি তার বাবাকে জানিয়েছি।
আবদুল হালিম বলেন, ‘আমার ছেলেকে মাদ্রাসায় গত বুধবার রাতে শাসনের নামে মারপিট করা হয়েছিল। এরপর গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে সে নিখোঁজ, অথচ আমাকে ফোন করে জানানো হয় শনিবার সন্ধ্যায়। আমি রোববার লালমনিরহাট সদর থানায় জিডি করেছি। তাকে খুঁজে না পাওয়ায় আমরা দুশ্চিন্তা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহা আলম বলেন, নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে আদনানের বাবা।বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার জন্য লালমনিরহাট সদর থানার উপপরিদর্শক মিজানুর
মুঠোফোনে বলেন, নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্র
আদনানের ঘটনাটি তদন্ত করার পাশাপাশি তাকে খোঁজা হচ্ছে, তবে এখনো তার সন্ধান মেলেনি।লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আরো জানান,আদনানের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে বুধবার ২৫ জুন দুপুরে আমি নিজেই ঘটনাস্থল ওই মাদ্রাসায় গিয়ে মাদ্রাসা সুপার ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছি।তদন্ত চলছে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে
গোকুন্ডার তিস্তা বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ পাশে ১৯৯৯ সালের প্রতিষ্ঠিত হয় হজরত ফাতেমাতুজ্জহরা দাখিল মাদ্রাসা। পরে তা আল জামিয়া ইসলামিয়া মডেল হেফজুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা নামে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।