লালমনিরহাট ফেসবুকে লাইভে এসে স্কুলছাত্রকে মারধর,প্রতিবাদে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে পরিক্ষা বজন করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
করছে কেতকী বাড়ি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক ও এলাকা বাসি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের কেতকীবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ফেসবুক লাইভে এসে মারধর করেছে ওই এলাকার কয়েকজন যুবক। মুহুর্তেই মারধরের ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন নির্যাতনের শিকার ওই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র মেহেদী হাসান লিখনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।এদিকে গতরাতে মামলা হলেও আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পযন্ত শিক্ষাথীরা অধবাষিক পরীক্ষা বজন করে কেতকীবাড়ি-পারুলিয়া সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।প্রায় তিনঘন্টা অবরোধের পর প্রধান শিক্ষক ছাত্রদের আস্বস্ত করলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।শিক্ষাথীরা জানান,আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার না করলে তারা আবারো অবরোধ করবেন। উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিদ্যালয়ের পিছনে একটি মাদ্রাসায় নিয়ে গিয়ে তাকে মারধর করেন সিফাত ও জয় নামে দুই যুবক। সেই মারধরের দৃশ্য ফেসবুকে লাইভ করতে থাকেন মাহবুবুর নামে অপর এক যুবক।
হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেহেদী হাসান লিখন বলেন, কয়েকদিন আগে ওই বিদ্যালয়ে হামলা করে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন সিফাত ও জয়সহ কয়েকজন যুবক। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা নিয়ে ওই বিদ্যালয়ে বৈঠকে বসেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু। ওই বৈঠকে আমিসহ কয়েকজন বন্ধু হামলাকারীদের নাম বলি। বৈঠক শেষ হওয়ার পর বিকেলে আমাকে পাশে মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর সিফাত ও জয় আমাকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন এবং সিফাতের ফেসবুক আইডি থেকে মাহবুবুর নামে এক যুবক সেই দৃশ্য লাইভ করেন। পরে স্থানীয় লোকজন লাইভটি দেখে ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করেন। আমাকে সিফাতের বাবা হোসায়নুর রহমান হিরু ও জয়ের বাবা দুলুর পরিকল্পনায় মারধর করা হয়েছে।
সিংক-১- মিজানুর রহমান,প্রধান শিক্ষক,কেতকীবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়,হাতীবান্ধা,লালমনিরহাট।
সিংক-২- রাকিব হাসান- লিখনের বাবা।
ভক্র্পপ-৫- লিখন- শিক্ষাথী
ভক্র্পপ-১,২,৩, শিক্ষাথী
ভক্র্পপ-৪- অভিভাবক
এবিষয়ে গতকাল রাতে শিক্ষাথী লিখনের বাবা রাকিব হাসান বাদি হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের নামে হাতীবান্ধা থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানালেন জেলা পুলিশের এই কমকতা।