বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৬:০১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি- স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি শিক্ষার্থীবান্ধব হবে কবে? ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাচনে সুবিধাজনক স্থানে আবু তালেব, লড়ে যাবেন সেলিম আকবর এবং শামশু। আমরা চাই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহন করুক, যত বেশী অংশ গ্রহন করবে ততবেশী প্রতিযোগিতা পূর্ণ হবে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রথম নারী মহাপরিচালক হলেন শিরীন পারভীন সরকারি সা’দত কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ লোহাগড়ায় প্রচন্ড গরমে ৭ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ, স্কুল ছুটি ঘোষণা  লোহাগড়ায় বাল্যবিবাহের সাথে  সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে চারজনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা লোহাগড়ায় বাল্যবিবাহের সাথে  সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে চারজনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ মারা গেছেন

সংগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক ঃ
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০২২

বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শনিবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সাহাবুদ্দীনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সাহাবুদ্দীন আহমদ গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।

উল্লেখ্য, সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ ৬ষ্ঠ প্রধান বিচারপতি এবং দু’বার দায়িত্বপালনকারী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি প্রথমে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর হতে ১৯৯১ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকাকালীন ১৯৯৬ সালের ২৩ জুলাই থেকে ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পেমই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাহাবুদ্দিন আহমদ। তার পিতা তালুকদার রিসাত আহমেদ একজন সমাজসেবী ও এলাকায় জনহিতৈষী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সাহাবুদ্দিন ময়মনসিংহের নান্দাইলে তার বোনের বাড়িতে বড় হন। তার স্ত্রীর আনোয়ারা বেগম। তিনি তিন কন্যা ও দুই পুত্র সন্তানের জনক।

সাহাবুদ্দিন আহমদ ১৯৪৫ সালে নান্দাইলের চন্ডীপাশা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৪৮ সালে কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ থেকে আইএ পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৫২ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৪ সালে তদানীন্তন পাকিস্তানি সিভিল সার্ভিসের (সিএসপি) প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রথমে লাহোরের সিভিল সার্ভিস একাডেমি এবং পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রশাসনে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তার কর্মজীবনের সূচনা। এরপর তিনি গোপালগঞ্জ ও নাটোরের মহকুমা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি সহকারী জেলা প্রশাসক হিসেবে পদোন্নতি পান। এর পর ১৯৬০ সালে তিনি প্রশাসন হতে বিচার বিভাগে বদলি হন। তিনি ঢাকা ও বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে এবং কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তাকে ঢাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

১৯৭২ সনের ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টের বেঞ্চে তাকে বিচারক হিসেবে উন্নীত করা হয়। ১৯৭৩-১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তিনি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর তাকে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৯৮০ সনের ৭ ফেব্রুয়ারি তাকে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ঢাকা ল রিপোর্ট, বাংলাদেশ লিগ্যাল ডিসিশন এবং বাংলাদেশ কেস রিপোর্টসে তার প্রচুরসংখ্যক রায় প্রকাশ করা হয়। চাকরিসম্পর্কিত, নির্বাচন নিয়ে কলহ, শ্রম ব্যবস্থাপনার সম্পর্ক ইত্যাদি কেসে তার গৃহীত বিচারের রায় বহুল সমাদৃত হয়। বাংলাদেশের সংবিধানের ৮ম সংশোধনী সম্পর্কিত কেসে তার দেওয়া রায় যুগান্তকারী এবং বাংলাদেশের সংবিধানের পরিশোধনের পথ উন্মুক্ত করে দেয়।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..