নড়াইলের লোহাগড়ায় আভ্যন্তরিন কোন্দলের জের ধরে উপজেলা বিএনপির আহবায়ককে কুপিয়ে জখম করেছে বিএনপির অপর পক্ষ। আহত উপজেলা বিএনপির আহবায়ককে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব টিপু সুলতানকে আটক করেছে।
রোববার দুপুরে উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের মরনমোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলা বিএনপি দুটি ধারায় বিভক্ত। একটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিম এবং অন্য গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির অপর সদস্য সচিব টিপু সুলতান। সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মতপার্থক্য চলে আসছিল।
সম্প্রতি বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে রোববার দুপুরে সদস্য সচিব কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিমের লোহাগড়া শহরের মদিনা পাড়ার বাড়িতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিন কে বলেন। ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও লাহুড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল জমাদ্দার (৬৫) মোটর সাইকেল যোগে লাহুড়িয়া থেকে লোহাগড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
তিনি জয়পুর-লাহুলিয়া সড়কের মরিচপাশা এলাকার মরনমোড় নামক স্থানে পৌছালে প্রতিপক্ষ সদস্য সচিব টিপু সুলতানের নেতৃত্বে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আহাদুজ্জামান বাটু, মফিজ, লিটুসহ ১০/১২ জন বিএনপির নেতা-কর্মী নজরুলের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে লাঠি, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ দিকে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব টিপু সুলতানকে (৪৭) লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা থেকে আটক করেছে।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিম উপজেলা বিএনপির আহবায়কের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের বহিঃস্কারের দাবী জানান।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।