ঘাঁটিটি এবার আফগান সরকারের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। আগামী শনিবার সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এক আফগান কর্মকর্তা।
অন্য দুই মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, আফগানিস্তানে মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ সেনাই আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে বিদায় নেবে। আর অল্প কিছু সেনা মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তার জন্য থেকে যাচ্ছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে বলেছেন, এখন থেকে আফগানদের ভাগ্য তাদের নিজেদেরই নির্ধারণ করতে হবে।
আর আফগান প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তাদের প্রধান কাজ হবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।
এদিকে, বাগরাম ঘাঁটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে তালেবান। সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, আমরা এই প্রত্যাহারকে ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মনে করি। বিদেশি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহারের মাধ্যমে আফগানরা শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে আরও কাছাকাছি আসতে পারবে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারসহ তালেবানের আরও দুটি হামলায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এই হামলার জন্য আল কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করা হয়।
সে সময় আফগানিস্তান শাসনকারী তালেবান ওসামা বিন লাদেনকে নিরাপত্তা দিয়েছিল এবং তাকে মার্কিন বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করতে প্রত্যাখ্যান করে। নাইন ইলেভেন হামলার এক মাস পর আফগানিস্তানে বিমান হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
কিছুদিনের মধ্যে মার্কিনিদের মিত্র দেশগুলোও এতে যোগ দেয় এবং দ্রুতই তালেবানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তানে অবস্থান করছে। কিন্তু তাতে তালেবান শক্তি অদৃশ্য হয়ে যায়নি বা তাদের শক্তি নিঃশেষও হয়নি।
বরং শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে তালেবানের প্রভাব ফের বাড়তে থাকে। আফগান সরকারের পতন ঠেকাতে এবং তালেবানের হামলা প্রতিহত করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে।
এ অবস্থায় সম্প্রতি আফগানিস্তান যুদ্ধে ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, ৯/১১ হামলার দুই দশকপূর্তির আগেই আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সকল মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি