নড়াইলের লোহাগড়া পৌর শহরের চোরখালী এলাকায় লিফলেট বিতরণ করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পৌর স্বেচ্ছাসেবক
দলের যুগ্ম আহ্বায়কসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ৪ ফেব্রুয়ারী) রাত আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে পৌর শহরের ১ নং ওয়ার্ডের চোরখালী এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, চোরখালী এলাকার সাহিদুর রহমানের ছেলে ও লোহাগড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে মিন্টু ( ৩৪), একই এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে ও ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো: ঝন্টু মিয়া (৪২), রেজাউল শেখের ছেলে বিএনপির সমর্থক হাফিজুর রহমান (৩৩), ও বাবলু শেখের স্ত্রী দোলেনা বেগম (৪৫)।
সংঘর্ষে আহত লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এস, কে মিন্টু গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার কিছু সময় পর জানতে পারি, চোরখালী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী সমর্থকরা দলীয় লিফলেট বিতরণ করবে এবং তারা চোরখালি গ্রামের আনিস মোল্যার চায়ের দোকানে জড়ো হয়ে মিটিং করছেন।
এ খবর জানার পর আমিসহ বিএনপির কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আনিস মোল্যার চায়ের দোকানে গিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদেরকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করি। শান্ত এলাকাকে অশান্ত না করারও আহবান জানাই। এ সময় আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের সাথে আমাদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তর্ক-বির্তক শুরু হয়। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কর্মী মনিরুজ্জামান মনির নেতৃত্বে ইদ্রিস সরদার, রবিউল মল্লিক, ইব্রাহিম মোল্যা, আনিস মোল্যাসহ ২০/২৫ জনের একদল দূর্বৃত্ত হাতুড়ি, লোহার রড, রামদা, লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। আমরা সৃষ্ট ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
এ দিকে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের হামলায় বিএনপি’র কর্মী সমর্থক আহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপিসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..